
যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের সমর্থনে, শিক্ষকদের উপর ধারাবাহিক পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদে ও সরকারি শিক্ষা বাঁচাতে ২-৫ জুন রাজ্য জুড়ে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিল এআইডিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন– রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে শত শত স্কুলে চারদিন ধরে হাতে হাত রেখে সংহতি প্রাচীর গড়লেন স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
বীরভূম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি যেতে বসেছে তিনজন শিক্ষিকার। যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের সমর্থনে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হাতে হাত ধরে দাঁড়ালেন। মুহূর্তে তৈরি হল এক আবেগঘন পরিস্থিতি। স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকারা চাকরিহারাদের কঠোর পরিশ্রম এবং যোগ্যতার কথা বলতে বলতে আবেগমথিত হয়ে পড়েন। একই সঙ্গে তাঁরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশি নিপীড়নের তীব্র নিন্দা করেন। শিক্ষকহীন সরকারি স্কুলের কঙ্কালসার চেহারা অশ্রুসজল চোখে ব্যক্ত করল ছাত্রীরা। এমনই ছিল এআইডিএসও-র আহ্বানে যোগ্য শিক্ষকদের দ্রুত স্কুলে ফেরানোর দাবিতে রাজ্য জুড়ে মানববন্ধনের ছবি। মালদা জেলার একটি স্কুলে মানববন্ধন চলাকালীন শাসক দলের ঘনিষ্ঠ দুই শিক্ষক পুলিশ ডেকে এনে হেনস্থা করে। পরে প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানান।
মুর্শিদাবাদ জেলার একটি হাইস্কুলের গেটে মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্কুলের সমস্ত শিক্ষকরা বেরিয়ে এসে অংশ নেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি স্কুলে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের স্টাফরুমে এআইডিএসও-র ছাত্রীকর্মীদের ডেকে অভিনন্দন জানান। এই স্কুলে ৬ জন যোগ্য শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। শিক্ষকরা বলেন, আমরা খুশি যে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে আছে।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা ১৩ – ১৯ জুন ২০২৫ এ প্রকাশিত