70 Year 33 Issue 6 April, 2018

বিহার : কৃষক ও খেতমজুররা জীবনের নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে ২৭ মার্চ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান৷ তাঁদের দাবি ঋণ মকুব, চাষের খরচের দেড়গুণ সহায়ক মূল্য, ভুট্টা চাষে কোনও ফসল না হওয়ায় চাষিদের ক্ষতিপূরণ, ওই বীজ কোম্পানি ডিলার সরকারি আমলাদের কঠোর শাস্তি, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা প্রকল্প থেকে বেসরকারি কোম্পানিকে বিচ্ছিন্ন করা, সমস্ত কৃষক–খেতমজুরদের্ নাম নথিভুক্ত করা, সমস্ত গ্রামীণ মজুরদের সারা বছর কাজ, বৃদ্ধ–বিধবা–প্রতিবন্ধীদের মাসিক ৫ হাজার টাকা পেনশন, খরা–বন্যার স্থায়ী সমাধান, ভূমিহীনদের ৫ ডেসিমেল জমিদান, দুগ্ধ উৎপাদকদের দুধের ন্যায্য দাম প্রভৃতি৷ এ আই কে কে এম এস আয়োজিত এই বিক্ষোভ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক কমরেড শংকর ঘোষ৷ প্রধান অতিথি এস ইউ সি আই (সি)–র বিহার রাজ্য সম্পাদক কমরেড অরুণ সিংহ বক্তব্য রাখেন৷ সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোককুমার সিংহের নেতৃত্বে ৫ জনের প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধির হাতে ১২ দফা দাবিপত্র পেশ করে৷

ওড়িশা : ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় বিসরা ব্লক বিডিও–র কাছে ৩১ মার্চ দাবিপত্র পেশ করেন কেকেএমএস–এর সদস্যরা৷ কৃষক ও খেতমজুরদের নানা সমস্যা নিয়ে সংগঠনের রাজ্য সহ সভাপতি কমরেড সদাশিব দাস বক্তব্য রাখেন৷ কৃষক নেতা কিনু লোহার এবং তিলোত্তমা মাহাতো, হেমকান্ত মাহাতো, ত্রিলোচন মাহাতো বক্তব্য রাখেন৷

উত্তরপ্রদেশ : ফসলের লাভজনক দাম বীজ–সার–কীটনাশক দাম কমানো, কৃষি ঋণ মকুব প্রভৃতি দাবিতে ২৮ মার্চ এআইকেকেএমএসের নেতৃত্বে কৃষক–খেতমজুররা জৌনপুরের জেলাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং দাবিপত্র পেশ করেন৷ নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি কমরেড শ্রীপতি সিংহ৷
হরিয়ানা : সরকারি মাণ্ডিতে ফসল বিক্রি করতে গেলে চাষিদের জমির দলিল নিয়ে যেতে হবে, সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড ইত্যাদি পরিচয়পত্র৷ শুধু তাই নয়, জানাতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউ

ন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের নাম৷ কিন্তু এত কিছু দায় সামলেও বিক্রয় কেন্দ্রে গেলেই ফসল বিক্রি করা যাবে না৷ এক এক গ্রামের জন্য নির্দিষ্ট দিনেই তা বেচা যাবে৷ তাও এক এক জন মাত্র ২৫ কুইন্টাল ফসল বিক্রি করতে পারবেন৷ এই রকম আরও অনেক অযৌক্তিক শর্ত ঘোষণা করেছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার৷ সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় চাষিরা সরকারের কাছে ফসল বিক্রি করতে না পেরে ফড়েদের খপ্পরে গিয়ে পড়ছে এবং অত্যন্ত কম দামে তাঁদের ফসর বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন৷
এই বঞ্চনা ও হয়রানির বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক কৃষক ও খেতমজুর ২৮ মার্চ এ আই কে কে এম এসের নেতৃত্বে ভিওয়ানির জেলা সচিবালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রীর উদ্দেশে দাবিপত্র পাঠায়৷ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক কমরেড রোহতাস সিং সৈনি৷