পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার মিড ডে মিল কর্মী কাজ করেন। রান্না থেকে বাসন ধোয়া সবই তাঁদের করতে হলেও এ রাজ্যে মাসে বেতন মাত্র ১৫০০ টাকা। তাও ১২ মাস নয়, বেতন দেওয়া হয় ১০ মাসের। এঁদের ছুটি নেই, রান্না করলেও খাওয়ার অধিকার নেই, পিএফ-পেনশন-বোনাস নেই, অবসরকালীন ভাতা নেই, নেই কোনও সামাজিক সুরক্ষা। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও ২০১৩ সালের পর বেতন এক পয়সাও বাড়েনি। পূর্বতন ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর সহ সমস্ত স্তরের কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার দাবিপত্র পেশ করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই এই দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন, কিন্তু তা পূরণের কোনও ব্যবস্থা করেননি। বরং কেন্দ্রীয় সরকার তার বাজেটে বারবার প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে যাচ্ছে এবং এই প্রকল্পকে সুকৌশলে তুলেদেওয়ার চক্রান্ত করছে। মিড ডে মিল প্রকল্প চলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ আর্থিক সাহায্যে। আন্দোলনের চাপে হরিয়ানা, কেরালা, তামিলনাড়ূ ইত্যাদি রাজ্যে মিড ডে মিল কর্মীরা বেতন বৃদ্ধি করতে সরকারকে বাধ্য করেছে।
এই অসহনীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে শ্রমিক সংগঠন এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের ডাকে ২৭ সেপ্টেম্বর, কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি হয়। এই কর্মসূচিকে সফল করতে ২২ সেপ্টেম্বর, শ্যামপুর-২ ব্লকের নাউল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল কর্মীদের নিয়ে সভা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরঃ জেলার কোলাঘাট ব্লকের মিড-ডে মিল কর্মীদের বকেয়া বেতন অবিলম্বে মেটানো, অন্তত ৬৩০০ টাকা মাসিক বেতন, সরকারি কর্মী হিসাবে স্বীকৃতি, বছরে ১২ মাসই বেতন দেওয়া প্রভৃতি ১৩ দফা দাবিতে এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত সারা বাংলা মিড-ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের কোলাঘাট ব্লক শাখার পক্ষ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর কোলাঘাট বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং বিডিও-র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।