মিউটেশন চার্জ, এফআরডিআই বিল বাতিলের দাবিতে জেলায় জেলায় কৃষক বিক্ষোভ

উত্তর ২৪ পরগণা : ফসলের ন্যায্য দাম, সার–বীজ–কীটনাশক সহ সমস্ত কৃষি উপকরণের দাম কমানো, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ চাষিদের মাসিক ৬০০০ টাকা পেনশন প্রদান, দীর্ঘ দিন খাসজমিতে বসবাসকারী গরিব মানুষদের অবিলম্বে পাট্টা প্রদান, জনবিরোধী এফআরডিআই বিল বাতিল প্রভৃতি দাবিতে ৯ জানুয়ারি অল ইন্ডিয়া কিষান খেতমজদুর সংগঠনের উদ্যোগে দুই শতাধিক কৃষক উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে ডি এম অফিসে বিক্ষোভ দেখায় ও ডেপুটেশন দেয়৷  সুসজ্জিত এক মিছিল বারাসাত শহর পরিক্রমা করে চাঁপাডালি মোডে রাস্তা অবরোধ করে৷

কৃষকদের বক্তব্য, এক শতক কৃষি জমিতে–খাজনা মকুব ২ পয়সা কিন্তু মিউটেশন চার্জ ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাড়ানো হয়েছে বিপুল পরিমাণ৷ জমি রেকর্ড করাতে গিয়ে মানুষ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে৷ বিএল অ্যান্ড এলআরও অফিসে প্রতিদিন জমির রায়তেরা নাজেহাল হচ্ছে৷ তাই অবিলম্বে সরকারকে এই জনবিরোধী মিউটেশন চার্জ বাতিল করতে হবে৷ কৃষকদের বক্তব্য,  দেশের ধনকুবেরদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণমকুব ও কর ছাড দেওয়া হচ্ছে৷ যা সরকারি বেসরকারি ব্যাঙ্ক মিলে প্রায় দশ লক্ষ কোটি টাকা৷ যে ঘাটতি পূরণ করতে আনা হচ্ছে এফআরডিআই আইন৷ আমরা কৃষকরা দেশবাসীকে খাওয়ানোর জন্য চাষ করতে ঋণ নিয়ে সরকারের কৃষিনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত৷ তাই আমাদের উপর ঋণ আদায়ের কোনও জুলুম করা চলবে না৷ আমাদের সমস্ত ঋণ মকুব করতে হবে এবং চাষের জন্য পুনরায় ঋণ দিতে হবে৷ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এআইকেকেএমএস–এর জেলা সম্পাদক কমরেড দাউদ গাজী ও সভাপতি কমরেড স্বপন দেবনাথ৷

বাঁকুড়া : ১০ জানুয়ারি সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে উপরোক্ত একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক, কেরানীবাঁধ বাইপাস অবরোধ করা হয়৷ শত শত সাধারণ মানুষের উৎসাহব্যঞ্জক সমর্থন ছিল লক্ষণীয়৷ ৪৫ মিনিট অবরোধ চলে, এরপর ডিএম–এর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ কয়েকটি ব্লকে বিডিও এবং জেলা খাদ্য নিয়ামকের (ডিসি) কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ রাস্তা অবরোধে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক কমরেড তারাশঙ্কর গোপ, নিরানন্দ সর্দার, বরেন দে প্রমুখ৷