মালদা জেলার সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানের লাগোয়া গ্রামে মন্দির ও প্রাথমিক স্কুলের কাছে একটি মদের দোকান খোলা হলে গ্রামবাসীরা এর প্রতিরোধে নামেন এবং ‘সাগরদিঘি পার্বত্য সাদুল্লাপুর মদ বিরোধী কমিটি’ গড়ে আন্দোলনে সামিল হন৷ কমিটির সভাপতি ঝুমা রায়ের নেতৃত্বে শত শত গ্রামবাসী মদের দোকান বন্ধের দাবিতে পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, থানার আইসি, আবগারি দপ্তর ও শেষ পর্যন্ত ডিএম–কে স্মারকলিপি দেন৷ এলাকায় প্রতিবাদ সভা, মিটিং–মিছিল চলতে থাকে৷ আন্দোলনের চাপে ইংলিশ বাজার বিডিও–র তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে মদের দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়৷
কিছুদিন পর আবার মদ বিক্রি শুরু হলে আবারও এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ কমিটির নেতৃত্বে সাদুল্লাপুর ফাঁড়িতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ শতাধিক গ্রামবাসী বিডিও দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায়৷ আন্দোলন চলাকালীন মালিক নানাভাবে আন্দোলনকারীদের হেনস্থা করে, প্রাণে মারার হুমকি দেয়৷ কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে৷ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে ওঠে এবং ২১ জুলাই হাজার খানেক মানুষের মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়৷ বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মহেশ্বর ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী মল্লিকা সরকার, নাট্যকার তৃপ্তি সাহা, সমাজসেবী গৌতম সরকার ও আদর্শ মিশ্র এবং কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ঝুমা রায়, কানন রবি দাস প্রমুখ৷ কমিটি মনে করে আন্দোলনের চাপ না থাকলে আবার মদ বিক্রি শুরু হবে৷