এ আই ইউ টি ইউ সি-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত ২১ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে সংযুক্তির মধ্য দিয়ে ৫টিতে নামাতে চাইছে। এর পক্ষে সরকারের যুক্তি – এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির প্রতিযোগিতার ধার বাড়বে। বিশালাকায় বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির সাথে তারা প্রতিযোগিতায় সক্ষম হবে এবং বেশি মুনাফা করবে। এই যুক্তিতেই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কিছুদিন আগে ২৭টি থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ১২টিতে নামিয়েছে।
বাস্তব হল, পুঁজিবাদের নিয়মই হল একচেটিয়া পুঁজির আর্থিক শক্তিকে ক্রমাগত কেন্দ্রীভূত করা। এই কারণেই একচেটিয়া মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সংযুক্তিকরণ অথবা বন্ধ করার এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারিকরণের পথও সুগম হবে। সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিই একচেটিয়া মালিক ও কর্পোরেটের হাতে চলে যাবে। ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের ফলে মারাত্মক হারে কর্মীসংকোচন ঘটবে, বহু কর্মচারী চাকরি হারাবেন। আমানতকারীরা তাঁদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় হারাবেন। এ কারণেই এখনই এই চেষ্টা প্রতিরোধ করা দরকার। সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী, গ্রাহক, এবং জনসাধারণের কাছে এ আই ইউ টি ইউ সি আহ্বান জানিয়েছে, একচেটিয়া মালিকদের হীন স্বার্থ সিদ্ধি করার লক্ষ্যে পরিচালিত এই ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।