অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরামের ডাকে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধন) বিল ২০২১প্রত্যাহার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল, উন্নত গ্রাহক পরিষেবার স্বার্থে সমস্ত ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নিয়মিত কর্মী নিয়োগ, ব্যাঙ্কশিল্পে বেতন ও চাকরির শর্তাবলি সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির দ্রুত নিষ্পত্তি, স্থায়ী কাজে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ না করা, স্থায়ী কাজে নিযুক্ত কন্ট্রাক্ট-ক্যাজুয়াল সহ সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের নিয়মিতকরণ, পার্ট-টাইম কর্মীদের ফুল-টাইম কর্মীতে পরিণত করা, অস্থায়ী কর্মীদের যথেচ্ছ ছাঁটাই না করা, সমকাজে সমবেতন, বকেয়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ধনকুবেরদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে ব্যাঙ্কশিল্পকে দুর্বল না করা, পেনশন আপডেট করা, এনপিএস বাতিল করে পুরাতন পেনশন চালু, আমানতে সুদ বৃদ্ধি, গ্রাহক পরিষেবা শুল্কের ক্ষেত্র এবং পরিমাণ কমানো, চারটি শ্রমিক বিরোধী ‘শ্রম কোড’ বাতিল প্রভৃতি দাবিতে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ব্যাঙ্ককর্মীরা দিল্লি অভিযান করেন।
নেতৃত্ব দেন ফোরামের সভাপতি বিজয় পাল সিং এবং সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ রায়মণ্ডল। ফোরামের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে অর্থ দফতরে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
ওই দিনই জাতীয় স্তরের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় নতুন দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডে আম্বেডকর ভবন হলে। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বিজয় পাল সিং।
প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখেন কনভেনশনের প্রধান অতিথি, এআইইউটিইউসি-র সর্বভারতীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রমেশ পরাশর। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ফোরামের দুই সহ-সভাপতি ভেদরাম সিং এবং পূর্ণ চন্দ্র বেহেরা, কন্ট্রাকচুয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র পোদ্দার, বলরাম যাদব (হরিয়ানা), আশা প্রজাপতি (মধ্যপ্রদেশ), অতুল শর্মা (নতুন দিল্লি), স্বপন দাস (আসাম), অজয় বাবু ও অরবিন্দ শর্মা (উত্তরপ্রদেশ), ইউসুফ মোল্লা ও বিজয় লোধ (পশ্চিমবঙ্গ) এবং নর্দান ডুকপা (সিকিম)। তাঁরা সমস্ত স্তরের ব্যাঙ্ক কর্মচারীকে সরকারের মালিক তোষণকারী, জনবিরোধী আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।