রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন সমাজসংস্কারক, নারীমুক্তি আন্দোলনের দিশারি, ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন বিদ্যাসাগরের সার্থক উত্তরসূরী। অথচ এ দেশে এই মহীয়সী নারীর জীবনাদর্শ তেমন করে চর্চা হয়নি। রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতি দীর্ঘদিন ধরে মহান মনীষীদের জীবনাদর্শ চর্চার পাশাপাশি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের আদর্শ নিয়ে চর্চা করে চলেছে। ১০ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সমিতির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে রোকেয়ার আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন হয়। উন্মোচন করেন সমিতির প্রবীণ নেতা ডাঃ আলি হাসান এবং সোমনাথ চক্রবর্তী। আলোচক, আমন্ত্রিত অতিথি সহ বহু বিশিষ্ট জন ও জেলার নির্যাতিত নারীদের প্রতিনিধিরা আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সমিতির মুখপত্র ‘মুক্তি’ পত্রিকা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষা হেনা সিনহা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সভাপতি কাবেরী বিশ্বাস।
৯ ডিসেম্বর মহীয়সী রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুদিন উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে রোকেয়া সভাগৃহে স্মরণ অনুষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষায় পাঠরত ২৩ জন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৃপেন্দ্রনাথ রায়। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট সদস্য অধ্যাপিকা অনুরূপা দাস, মুগবেড়িয়া কলেজের অধ্যাপিকা জোনাকী বিশ্বাস, ডাঃ সুমাইয়া ফিরোজ, ট্রাস্ট সদস্য গণেন রায়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ বিশ্বনাথ পড়িয়া, ডাঃ রমেশ বেরা, দিলীপ মাইতি প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যাসাগর গ্রন্থাগার অনুরাগী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ কালীশংকর পাত্র ও হেয়াতুল হোসেন। গ্রন্থাগারের ত্রৈমাসিক দেওয়াল পত্রিকা ‘স্ফূরণ’ এর তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়।