মাসে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দিতে হবে, এই দাবিতে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হল বিদ্যুৎগ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকার রাজ্য সম্মেলনে। ১৮ ফেব্রুয়ারি সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আরও দাবি ওঠে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ূর মতো এ রাজ্যে কৃষিবিদ্যুৎ দিতে হবে বিনামূল্যে। এলপিএসসি-র রেট ২৪ শতাংশের পরিবর্তে ব্যাঙ্ক রেটে করতে হবে। আলোচনাতে উঠে এসেছে ক্ষুদ্র শিল্পে অমানবিক ফিক্সড চার্জ এর বিষয়। লকডাউনে ক্ষুদ্র শিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসে প্রতি কে ভি এ লোডের ভিত্তিতে ক্ষুদ্র শিল্পে ৫০ টাকা হারে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাতে ৩০ টাকা হারে বিলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্মেলন। দৃষ্টিহীন গ্র্রাহক, দুর্গম পাহাড়ী এলাকার ও জঙ্গলমহলের গরিব বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ন্যূনতম দামে বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। সিইএসসি এলাকাতে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের এসইডিসিএল এলাকার গ্রাহকদের মতো রাজ্য সরকারি ভর্তুকি থেকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং নতুন কানেকশনে অস্বাভাবিক সার্ভিস চার্জের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
গত ২০১৬-১৭ বর্ষে কয়লার দাম ৪০ শতাংশ কমেছিল, কয়লার ওপর জি এস টি কমেছে ৭ শতাংশ। দাবি উঠেছিল বিদ্যুতের দাম ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। সেই দাবি রাজ্য সরকার মেনে নেয়নি। আবারও গত ১০ ফেব্রুয়ারি কয়লার দাম ১০ থেকে ২৬ শতাংশ কমেছে। অথচ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি ইউনিট প্রতি ৪৩ পয়সা এবং সি ই এস সি ইউনিট প্রতি ২১৪ পয়সা মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। অবিলম্বে এই প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং বিদ্যুতের মাশুল কমানোর দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় সম্মেলনে।
দিল্লিতে প্রায় তিন মাস ধরে কর্পোরেট স্বার্থবাহী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটানোর অঙ্গীকার নিয়ে প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী। সংগঠনের সহ সভাপতি অমল মাইতি সহ সাত জনের সভাপতিমণ্ডলী সম্মেলন পরিচালনা করেন। ব্যাপকভাবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান, আঞ্চলিক ও জেলা সম্মেলন এবং কমিটি গঠন করে দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে নতুন কমিটির সভাপতি অনুকূল ভদ্র এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস, ২১ জনকে নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলী ও ১২৩ জনকে নিয়ে রাজ্য কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত হয়।