বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মাশুল বৃদ্ধি, জনবিরোধী বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল-২০২২, বিদ্যুৎ শিল্পের বেসরকারিকরণ ও প্রিপেইড স্মার্ট মিটার লাগানোর বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর গুয়াহাটির লক্ষ্মীরাম বরুয়া সদনে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৯টি জেলা থেকে দুই শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক এতে অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী অজিত আচার্য। কনভেনশনের প্রধান বক্তা অল ইন্ডিয়া ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি রমেশ পরাশর বলেন, পুঁজিপতি শ্রেণির স্বার্থে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারগুলো বিদ্যুৎকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা থেকে লাভজনক পণ্যে পরিণত করতে চাইছে। তার জন্য সরকার বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল-২০২২ পাশ করাতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্র কর্পোরেট গোষ্ঠীর করায়ত্ত হলে গরিব সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি জনবিরোধী এই সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গ্রাহক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার সমাজকর্মী বিমল দাস বলেন, নব্বই-এর দশকে বিশ্বায়ন, উদারিকরণ, বেসরকারিকরণের নীতি আমদানির সাথে সাথে সরকার অন্যান্য পরিষেবার মতো বিদ্যুৎকেও ব্যবসায়িক উচ্চ মুনাফার পণ্য হিসেবে তুলে ধরে। এরপর থেকেই বিদ্যুতের মাশুল বেড়ে চলেছে।
বিদ্যুৎ-শ্রমিক আন্দোলনের নেতা দীপক কুমার সাহা বলেন, এই বিলের মাধ্যমে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ তালিকায় থাকা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের একচেটিয়া অধিকার কায়েমের চেষ্টা চলছে। ফলে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব হবে এবং সাধারণ গ্রাহকরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হবেন। শুরুতে কনভেনশনে মূল প্রস্তাব পেশ করেন অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অজয় আচার্য এবং সমর্থনে বক্তব্য রাখেন হিল্লোল ভট্টাচার্য। শেষে জেলায় জেলায় বিদ্যুৎ গ্রাহক কনভেনশন, কমিটি গঠন, স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান ইত্যাদি একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।