পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং কাস্টমার কেয়ারের নতুন স্টেশন ম্যানেজার শুরু থেকেই গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন৷ সাধারণ বিল সংশোধন, মিটার পরিবর্তন, এমনকি পছন্দ না হলে অভিযোগপত্র গ্রহণ করতেন না৷ ফলে, তাঁর সম্পর্কে গ্রাহকদের ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়তে থাকে৷ এই অভিযোগ গ্রাহক সমিতির কাছে আসায় সমিতি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি রাজি হননি৷ এই অবস্থায় সমিতি এস এম দপ্তর অবরোধের কর্মসূচি নেয়৷
১১ জুন জেলা সম্পাদক জগন্নাথ দাসের নেতৃত্বে শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক মিছিল সহকারে এস এম দপ্তরে পৌঁছে জানতে পারেন তিনি অনুপস্থিত এবং কথা বলার জন্য অন্য কোনও অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে যাননি৷ গ্রাহকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং এস এম দপ্তর অবরোধ শুরু করেন৷ স্থানীয় দোকানদার, বাসিন্দা এবং পথচারীরা অবরোধে যোগ দেন৷ সেখানে বক্তব্য রাখেন গ্রাহক নেতা চণ্ডীচরণ হাজরা এবং দীনেশ মেইকাপ৷
ইতিমধ্যে পুলিশ আসায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়৷ স্লোগান ওঠে, পুলিশ দিয়ে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা যাবে না৷ দু’ঘন্টা বিক্ষোভ–বরোধ চলার পর খড়গপুর ভিজিল্যান্স বিভাগের ডি এসকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে ঢুকতে গেলে রাস্তার উপর গ্রাহকরা এস এমকে ঘেরাও করেন এবং দাবি করেন স্বেচ্ছাচারী আচরণের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ ডি এমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং এস এম ডেপুটেশন গ্রহণ করেন৷ এস এম কথা দিতে বাধ্য হন, গ্রাহকদের যে কোনও অভিযোগ গ্রহণ করবেন৷ বিল সংশোধন, না হওয়া পর্যন্ত লাইন না কাটা, বাড়তি জমা টাকা ফেরত, নতুন সংযোগ, কন্ট্রাক্টররাজ ও দালাল চক্র বন্ধ প্রভৃতি দাবি মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন৷ সাথে সাথে বেশ কিছু গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করেন৷ আন্দোলনের জয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়৷