অ্যাবেকার ডাকে ১৮ ডিসেম্বর কলকাতার মৌলালী যুবকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের রাজ্য কনভেনশন৷ প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ মাশুলে পারস্পরিক ভর্তুকি চালু রাখা এবং বিদ্যুৎ মাশুল এখনই ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি ওঠে এই কনভেনশনে৷ বিদ্যুতের দাম সকলের জন্য এক করার নামে যে ভাবে শিল্পগ্রাহক এবং বড় বিদ্যুৎগ্রাহকদের বোঝা গৃহস্থ ও ছোট ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে তার প্রতিবাদ জানানো হয় এই কনভেনশনে৷
শহরের মধ্যবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে গরিব বস্তিবাসী, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা প্রান্তিক কৃষক পর্যন্ত সমাজের প্রায় সর্বস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহক এই কনভেনশনে অংশ নেন৷ বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুজয় বসু, প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, পরিবেশবিদ প্রদীপ দত্ত প্রমুখ৷ অ্যাবেকার সহ সভাপতি অমল মাইতি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দাবিগুলি তুলে ধরেন বিস্তৃতভাবে৷ বক্তারা বলেন, সারা ভারতে বহু রাজ্যই হয় বিনা পয়সায় না হলে সামান্য মাশুল দিয়ে কৃষি সেচে বিদ্যুৎ দেয়৷ অথচ পশ্চিমবঙ্গে এই মাশুল খুবই চড়া৷ তাঁরা অবিলম্বে মাশুল কমানোর দাবি করেন৷ কয়লার দাম ৪০ শতাংশ কম ও জি এস টি ৭ শতাংশ কমার ফলে উৎপাদন খরচ কমলেও বিদ্যুৎ কোম্পানির স্বার্থে সরকার মাশুল কমাতে দিচ্ছে না বলে বক্তারা অভিযোগ করেন৷ কনভেনশন থেকে এই নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে৷