হরিয়ানাতে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বললেও জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কোনও কথা এখন বিজেপি নেতাদের মুখে নেই। কারণটা জানা, হরিয়ানায় এক শতাংশের কম ভোটের ব্যবধান নিয়ে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে অনেক আশা নিয়ে বিজেপি ভেবেছিল সে রাজ্যে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে। আর তার পরেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিয়ে মনোনীত সদস্য হিসাবে বিজেপির পাঁচজনকে তারা বিধানসভায় ঢুকিয়ে দেবে। গণতান্ত্রিক সমস্ত রীতি-নীতি ভেঙে এই মনোনীতদেরও ভোটাধিকার বজায় রাখার ব্যবস্থা করে রেখেছে তারা। ফলে পিছনের দরজা দিয়ে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা সরকার গড়ে ফেলবেন।
অবশ্য সদ্য সমাপ্ত হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের লগ্নে রাজ্যটিকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলছিলেন বিজেপির দুই মহারথী। অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি প্রচারের সুযোগ পেয়েও যাচ্ছেন না– বার্তাটি যে কোনও মানুষই বুঝবেন। তাঁরা জয়ের বিশেষ আশা দেখতে পাচ্ছিলেন না। কিন্তু কংগ্রেসের আধিপত্যবাদী রাজনীতি হরিয়ানার মসনদটাকে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছে। বিজেপি যতই হইচই করুক হরিয়ানায় জনগণের বিপুল সমর্থন তারা পায়নি।
অন্য দিকে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের আগে সারা ভারতে বিজেপি একটা হাওয়া তুলেছিল যে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে সে রাজ্যের মানুষ তাদের দুক্সহাত তুলে আশীর্বাদ করবে। লাদাখকে বাদ দিয়ে শুধু কাশ্মীর উপত্যকা ও জম্মু অঞ্চলকে নিয়ে বর্তমান জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। কিছুদিন আগে হওয়া ডি-লিমিটেশনে লাদাখকে বাদ দিয়েও মোট আসন বেড়েছে। এতে কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় জম্মুতে আসন বেড়েছে বেশি। কাশ্মীরের যে ৯০টি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স পেয়েছে ৪২টি, কংগ্রেস ৬টি, বিজেপি ২৯, পিডিপি ৬, সিপিএম, আপ ও অন্যান্য দল ১টি করে আসন পেয়েছে, নির্দলরা জিতেছে ৭টি আসনে। বিজেপির আশা ছিল ৩৭০ ধারা বাতিল ও হিন্দুত্ববাদের হাওয়া তুলে তারা জম্মু এলাকার সবকটি আসনই পাবে। কিন্তু বিজেপির আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন কাশ্মীরের জনগণ।
বিজেপি কাশ্মীর সম্বন্ধে দুটো প্রচার সারা ভারতে ছড়ায়– প্রথমটি হল, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তিতে কাশ্মীরী জনগণ বিজেপির প্রবল ভক্ত হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয়টি, কাশ্মীরে বিজেপি বিরোধী মানেই বিচ্ছিন্নতাবাদী পাকিস্তানপন্থী। এ বারের নির্বাচনে এই দুটি ভাষ্যই পরাস্ত হয়েছে। জম্মু অংশে বিজেপি ৪৩টির মধ্যে ২৯টি আসন পেয়েছে। কাশ্মীরে তারা শূন্য। রাজ্য মর্যাদা এবং ৩৭০ ধারার বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের নিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সরকার চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের চার বছরের শাসনে যে কোনও সরকারি পরিষেবা পেতে ঘুষের পরিমাণ বেড়েছে প্রচুর হারে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। স্মার্ট মিটারের কবলে পড়ে বিদ্যুতের দাম, সরকারের নানা কর, সমস্ত জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা পর্যটন ব্যবসাকে চরম ক্ষতির সামনে ফেলেছে। আপেল চাষিরা সংকটে। সরকারি দমননীতির ফলে দীর্ঘ দুক্সতিন বছর আপেল বাগানে কাজ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ওপর সার, বীজ, সেচের জলের জন্য যা খরচ হচ্ছে সেই অনুপাতে দাম নেই। আছে আপেল বাজারজাত করার জন্য পরিবহণের মারাত্মক সমস্যা। তার ওপর রেল সহ নানা কাজে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ আপেল ও কাশ্মীরের মহার্ঘ মশলা চাষিদের প্রবল সংকটে ফেলেছে। পূর্বতন সরকারগুলোর আমল থেকেই কাশ্মীরে অপরিকল্পিত বন ধ্বংস, ও পরিবেশ নষ্ট হয়ে চলেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় শাসন তাকে আরও বাড়িয়েছে। ফলে এই পরিবেশ সংবেদী (ইকনমিক্যালি ভালনারেবল) এলাকায় বন্যা, চাষের ক্ষতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সম্পূর্ণ জম্মু-কাশ্মীরেই বেকারত্ব একটা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সময় বিজেপি সরকার এই রাজ্যের নানা উন্নয়নের গল্প শোনালেও সামরিক প্রয়োজনে রেল-সড়ক পরিবহণ পরিকাঠামোর কিছু উন্নতি ছাড়া কার্যত কিছুই হয়নি। কাশ্মীরের উপযুক্ত শিল্প স্থাপনের কোনও চেষ্টাই বিজেপি সরকার করেনি। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের যে নিরাপত্তার আশ্বাস সরকার দিয়েছিল তার কোনও অস্তিত্ব তাঁরা অন্তত টের পাননি। তাদের ঘেরাটোপের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা দূরে থাক, প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় সংঘর্ষের খবর সংবাদপত্রে থাকেই। এর অজুহাতে আবার বহু গ্রামে নিরীহ যুবকদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে সরকারি বাহিনী ও মিলিটারির অত্যাচার বেড়েছে। পুরো রাজ্যেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনও অস্তিত্ব নেই। এই অপশাসনে বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ এ বারের ভোটে দেখা গেল। ভূস্বর্গকে বিজেপি আপন স্বর্গ ভেবে সে রাজ্যের মানুষকে পায়ের তলায় রাখতে চেয়েছিল, তাঁরা তার জবাব কিছুটা হলেও দিয়েছেন।
জম্মু অংশেও বিজেপিকে অনেকটাই প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ। একমাত্র জম্মু জেলার ১১টি আসনে লেফটেন্যান্ট গভর্নর পরিচালিত সরকারি প্রশাসনের সাহায্য, ‘হিন্দুরা বিপন্নক্স আওয়াজ তুলে বিজেপি অনেক আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক পরিমণ্ডল তৈরি করে রেখেছিল। অবশ্য কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের রাজনীতিও এর জন্য দায়ী। তারা জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদের সাথে বারবার আপস করেছে। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে তারা জম্মু হিন্দুদের কাশ্মীর মুসলমানদের– বিজেপির তৈরি এই ভাষ্যের বিরোধিতা খুব বেশি করেনি। ফলে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এর সাথে প্রশাসনিক শক্তিতে সমস্ত বিরোধী কণ্ঠস্বরকে চেপে দেওয়ার সাহায্য বিজেপি এই জেলায় বেশি পেয়েছে। কিন্তু জম্মুরই বাকি জেলাগুলিতে তাদের নির্বাচনী ফল খুবই খারাপ। এমনকি যে কাঠুয়াতে পশুপালক উপজাতির এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধর্ষক-খুনিদের পক্ষ নিয়ে মিছিল করেছিল বিজেপির মন্ত্রী-বিধায়করা, সেখানেও বিজেপির ফল খুব ভাল নয়। বিজেপির হিসাব ছিল পাহাড়িদের তপশিলি উপজাতির মর্যাদা দিলে তাঁরা ঢেলে ভোট দেবেন বিজেপিকে। দেখা যাচ্ছে পাহাড়ি, গুজ্জর প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের প্রতি কেন্দে্রর সরকারের সীমাহীন বঞ্চনা ভোলেননি। জম্মুর এই অংশে বিজেপিকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। জম্মু এবং কাশ্মীর এলাকাতেও আজও বহু উপজাতির মানুষের প্রধান জীবিকা পশুচারণ। তাঁদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা, তাঁদের উন্নয়নে বিজেপি সরকার কিছুই করেনি। এ বারের ভোটে তাই দেখা গেল উপজাতি প্রধান অঞ্চলগুলিতে বিজেপির ফল অত্যন্ত খারাপ। শুধু তাই নয় বিজেপির সহযোগী হয়ে ২০১৯ পর্যন্ত সরকার চালানো পিডিপিকেও কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে কাশ্মীরের মানুষ। কংগ্রেসও জোটের ফলে কিছু আসন পেলেও বিশেষ জায়গা করতে পারেনি। তার অন্যতম কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসই কেন্দ্রে এবং সে রাজ্যে নানা ভাবে বহু দিন ক্ষমতা ভোগ করেছে। তারা কাশ্মীরের মানুষের উন্নতি ও তাদের আত্মপরিচয়ের জন্য আন্দোলনের সাথে কার্যত বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বহু আগে থেকে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা বলে আসছিলেন, সন্ত্রাসবাদী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনী এই দুই পক্ষের নিগ্রহে তাঁদের জীবন অতিষ্ঠ হচ্ছে। তাঁরা সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ যেমন চান না, তেমনই সামরিক শাসনও চান না। তাঁরা চেয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকার। ৩৭০ ধারা ছিল ভারতভুক্তির সময় কাশ্মীরের ঐতিহাসিকভাবে বিশেষ অবস্থানের স্বীকৃতি। কাশ্মীরিয়তকে নিয়ে সে রাজ্যের মানুষের যে আত্মপরিচায়ের ভাবনা, তা ধাক্কা খেয়েছে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তিতে। কিন্তু তাঁদের এই চাওয়া যে সন্ত্রাসবাদ বা বিচ্ছিন্নতার সমর্থন নয়, তারও প্রমাণ এ বার দেখা গেল। বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলির অধিকাংশ প্রার্থী এ বার পরাজিত হয়েছেন।
কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ ভারতের নাগরিক হিসাবেই অধিকার এবং মর্যাদা চাইলেও বিজেপি তার সংকীর্ণ নির্বাচনী স্বার্থে ভারতের অন্যান্য অংশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণে সুবিধা হবে বলে তাঁদের এই চাওয়াটাকেও বিচ্ছিন্নতাবাদের সমার্থক করে তুলে ধরে। কংগ্রেসও বহু ক্ষেত্রে তা করে। দেশের মানুষকে এই চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। অন্য দিকে, বিজেপিবিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস কাশ্মীরের মানুষের বিজেপি বিরোধী ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আপাত কিছু সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু অতীতে তারাও এই রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল এবং জনগণের ওপর শোষণের স্টিমরোলার চালানো ও দমনপীড়নের কাজটা তারাই করেছে। তাদের আচরণের জন্যই বিক্ষুব্ধ মানুষ সন্ত্রাসবাদীদের খপ্পরে পড়েছেন বারবার। কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল ফিরিয়ে আনতে বিজেপির বিরুদ্ধে এই ক্ষোভকে গণআন্দোলনের রূপ দেওয়ার কথা যাদের, সেই বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি সে রাজ্যে দুর্বল। যদিও সিপিএম সেখানে আগে একটি এমপি আসন জিতেছিল, এ বারে তারা তাদের পুরনো সাংসদকেই বিধানসভায় জেতাতে পেরেছে। কিন্তু এই জয়ের ক্ষেত্রেও তারা বামপন্থার কোনও লাইন অনুসরণ করেনি। ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের সাথে মিলে বিজেপি বিরোধী ক্ষোভকে কাজে লাগানো আর কাশ্মীরের কিছু স্থানীয় সেন্টিমেন্টই তাদের ভোট প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল। অথচ নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে জনজীবনের জ্বলন্ত দাবিগুলি নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলাই ছিল বামপন্থীদের কর্তব্য। এমনকি যখন বিদ্যুতের স্মার্ট মিটারের বিরুদ্ধে শ্রীনগরের শিকারা মালিক থেকে শুরু করে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন, স্মার্ট মিটার আছড়ে ভেঙেছেন, বামপন্থী দল হয়েও সিপিএম কোনও ভূমিকা নেয়নি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজটা না করায় সিপিএমের নির্বাচনী সাফল্যে গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি কিংবা বামপন্থা শক্তিশালী হওয়ার আশা নেই। যে কংগ্রেসের সাথে তাদের ঐক্য, সেই দলটি ভারতের অন্যান্য অংশে নরম হিন্দুত্বের লাইনে ভোট বাড়ানোর তাগিদে কাশ্মীরের জনগণের ওপর সরকারি আক্রমণের কার্যত কোনও প্রতিবাদ করে না।
কংগ্রেস কাশ্মীরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভোটে জিতলে তারা ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে। যদিও তারা এটা ভালই জানে যে, এই ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। যদিও তারা সারা ভারতে ৩৭০ ধারা বাতিলের জোরালো বিরোধিতা করেনি। এই কারণেই তারা এনসি-র সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করার কথা বলেছে। তাদের ভয় কাশ্মীরের মানুষের অধিকার নিয়ে সরব হলে পাছে বাকি ভারতে বিজেপি তাদের হিন্দু ভোটে ভাগ বসিয়ে দেয়! অন্য দিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স তাদের প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি তুললেও ৩৭০ ধারা নিয়ে কিছুই বলেনি। তারা কর্পোরেট মালিকদের আশীর্বাদ পেতে কেন্দ্রীয় শাসকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার লাইনেই হাঁটতে চাইছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি খোদ লেফটেন্যান্ট গভর্নরও তাদের এ জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছেন। এরাই আবার বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক।
কাশ্মীরে বিজেপির পরাজয় একদিকে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাছে কাম্য। কিন্তু ন্যাশনাল কনফারেন্স কিংবা কংগ্রেস জনস্বার্থে ভূমিকা নেবে এই আশা করা বৃথা। সে ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার রক্ষায় গণতান্ত্রিক এবং যথার্থ রাস্তায় শক্তিশালী বামপন্থী আন্দোলনই একমাত্র বিকল্প হতে পারে। কাশ্মীরের মানুষকে নির্বাচনী চোরাগলির বাইরে এই পথটাকে খুঁজতেই হবে।