সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস ১২ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা অতিমারির তৃতীয় ঢেউ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে সহস্রাধিক ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যার ফলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের পরিষেবা আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ডাক্তারদের-স্বাস্থ্যকর্মীদেরই যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে প্রথমেই রোগীর সংস্পর্শে আসতে হয়। তাই তাদের মধ্যেই সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিচ্ছিন্নবাসের সময় কমানো হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ে কারা ওমিক্রনে আক্রান্ত, কারা ডেল্টা প্লাসে, তা খুব কম ক্ষেত্রেই নির্ধারণ করা হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ হচ্ছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। আর নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্ত হওয়ার ঠিক পরে পরেই বা কিছুদিন পরে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে তাও চিকিৎসা মহলে অজানা। এই অবস্থায় ডাক্তারদের সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই অবৈজ্ঞানিকভাবে আইসোলেশন পিরিয়ড কমিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা অনেক ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। বহু চিকিৎসক এতে মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারেন। আমরা সরকারের এই অবৈজ্ঞানিক, অবিবেচক এবং অমানবিক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছি এবং অবিলম্বে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি।
আরও উদ্বেগের বিষয় হল, বর্তমানে বিপুল ঘাটতি পরিকাঠামো এবং ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের যে ভয়ঙ্কর ঘাটতি রয়েছে এবং অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় এই ঘাটতি আরও প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে, তাতে রোগী পরিষেবা ভীষণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।