থানার সামনে অসহায় কান্নায় ভেঙে পড়েন বছর উনিশের মোমিনা খাতুন। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। আসাম সরকারের ‘বাল্যবিবাহ বিরোধী অভিযানে’ গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ পুলিশি হেফাজতে আছেন তার স্বামী, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ইয়াকুব আলি।
‘এখন আমরা খাব কী? কে দেখবে আমার বাচ্চাকে? মেয়েমানুষের যন্ত্রণার কি কোনও শেষ নেই?’ মোমিনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি প্রশাসন।
ধুবড়ির জাহিরা বেগমের ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে এসে অসুস্থ স্বামীকেও তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। মোমিনা, জাহিরার মতো শয়ে শয়ে মহিলা রোজ ভিড় করছেন আসামের বিভিন্ন জেলের সামনে, শিশুসন্তান কোলে আর্ত চিৎকার করছেন কেউ কেউ। এঁদের স্বামীকে, সন্তানের বাবাকে রাতারাতি জেলে ভরেছে পুলিশ। বৃদ্ধ, অসুস্থ কাউকে রেয়াত করেনি। পুরুষহীন, অভিভাবকহীন দিশেহারা পরিবারগুলো অসহায় আতঙ্কে কার্যত মাথা ঠুকছে সরকার-পুলিশ-প্রশাসনের দরজায়। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কানে রাজ্যের মানুষের এই আর্তনাদ পৌঁছাচ্ছে না। বরং প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় টুইট করে বিবৃতি দিয়ে তিনি সগর্বে পুলিশি ধরপাকড়ের অগ্রগতি জানাচ্ছেন।
সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত গ্রেপ্তারির সংখ্যা ছিল ২৫২৪ জন, ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেটা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার এ ক্ষেত্রে একেবারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলবে। অর্থাৎ বাল্যবিবাহ নিয়ে কোনও আপস করবে না। বাল্যবিবাহে অভিযুক্ত যে ৮০০০ জনের তালিকা তারা পেয়েছেন, সবাইকে জেলে ভরা হবে। তারপর কী হবে এই মানুষগুলোর? বিজেপি জমানার যাবতীয় অভিজ্ঞতা বলছে, বিচারের কোনও ধার ধারবে না সরকার, খুব সম্ভবত বেশিরভাগের ঠাঁই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে, আর ধুঁকতে ধুঁকতে মরতে হবে তাদের পরিবারকে, বাবার স্নেহ থেকে আজন্ম বঞ্চিত হয়ে বড় হবে মোমিনা খাতুনের মতো অসংখ্য মহিলার সন্তানেরা।
সরকারের এই ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আসাম সহ সারা দেশে বাল্যবিবাহ তো হঠাৎ করে শুরু হয়নি। এতদিন তারা বাল্যবিবাহ আটকাতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? শিক্ষার প্রসার-কর্মসংস্থান-দারিদ্র দূরীকরণের মতো বিষয়গুলোতে কতটা নজর দিয়েছে? আসামের এই দারিদ্রপীড়িত গ্রামাঞ্চলে মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি কেমন? নারীশিক্ষার হার কতটা? সরকার যদি সত্যিই আইনরক্ষায় অনমনীয় হয়, তা হলে উপযুক্ত পুলিশি ব্যবস্থা করে বাল্যবিবাহ হওয়ার আগেই সেগুলো আটকাল না কেন? রাজ্যের শিক্ষায় অনগ্রসর অংশের মানুষের মধ্যে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিল না কেন? পুলিশি সন্ত্রাস নামিয়ে, হাজার হাজার মানুষকে জেলে ভরে, এতগুলো দরিদ্র পরিবারকে পথে বসিয়ে কি বাল্যবিবাহ আটকানো সম্ভব? একটা রাজ্যের সরকার যদি রাজ্যবাসীর প্রতি এমন মারমুখী মনোভাব নিয়ে চলে, সেই সরকারের পক্ষে কি সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সচেতনতার কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব? স্বাভাবিক ভাবেই গুয়াহাটি হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে তীব্র ভৎর্সনা করে এই গ্রেফতারিকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে। জানিয়েছে বাল্যবিবাহে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য গ্রেফতার করে লকআপে বা জেলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। কোর্টে এই ধাক্কা খেয়েও বিজেপি সরকার সংযত হবে কি?
বাল্যবিবাহ নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর সামাজিক ব্যাধি। দেশে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আইন আছে, আইন ভাঙলে শাস্তির ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু যে কোনও সামাজিক কুপ্রথার মতোই শুধুমাত্র আইন পাশ করে বাল্যবিবাহ আটকানো যায়নি, স্বাধীন ভারতের পঁচাত্তর বছর পেরিয়েও রাজ্যে রাজ্যে বাল্যবিবাহ নির্মূল হয়নি। সংবাদপত্রের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা-গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে, বাল্যবিবাহের পেছনে মূল কারণ অশিক্ষা আর দারিদ্র। তাই বাল্যবিবাহ আটকাতে চাইলে তার প্রথম এবং প্রধান ধাপ হচ্ছে নারীশিক্ষার উন্নতি ঘটিয়ে শিশুবয়স থেকেই মেয়েদের যতদূর সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরিসরে নিয়ে আসা, তাদের উচ্চতম স্তর পর্যন্ত পড়াশুনা চালিয়ে নিয়ে যেতে সব রকম সাহায্য করা, দরিদ্র পরিবারগুলোর আর্থিক ভরণপোষণের কিছুটা সুরাহা করা যাতে মেয়ে সন্তান সেখানে ‘বোঝা’ হিসাবে পরিগণিত না হয়। এর সাথে অবশ্যই দরকার সচেতনতামূলক প্রচার। তাই দারিদ্র আর অশিক্ষার ক্যানসারকে উপেক্ষা করে এইসব প্রচার অভিযানে যতই টাকা ঢালা হোক, সেটা হবে গাছের গোড়ায় জল না দিয়ে ফুল ফোটাতে চাওয়ার মতো অবাস্তব কল্পনা।
আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ইতিহাসে যে মহান মানুষটির কথা সবার আগে মনে আসে, তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সেদিনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন, সামন্তী ভাবধারায় আচ্ছন্ন, পিছিয়ে থাকা সমাজের বুকে একা দাঁড়িয়ে বিধবাবিবাহ প্রচলন, নারীশিক্ষার বিস্তারের পাশাপাশি বহুবিবাহ-বাল্যবিবাহ রোধের জন্য তিনি অসাধারণ সংগ্রাম করেছিলেন। নিজের সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এ দেশের মেয়েদের মধ্যে জ্ঞানের আলো, শিক্ষার আলো পৌঁছে দিয়ে তাঁদের পূর্ণ মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৮৫০ সালে লিখিত ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ প্রবন্ধে বিদ্যাসাগর অত্যন্ত যুক্তিনিষ্ঠ ভাবে দেখিয়েছিলেন, বাল্যবিবাহ কেন বন্ধ হওয়া উচিত। দেখিয়েছিলেন এই প্রথা শুধু একটি মেয়ের জীবনই নষ্ট করে না, সামগ্রিকভাবে সমাজের পক্ষেও নানা ভাবে ক্ষতিকর হয়। সেখানেও তিনি অন্যান্য কারণের সাথে অত্যন্ত জোর দিয়েছেন শিক্ষার ওপর।
বিদ্যাসাগরের নারীশিক্ষা আন্দোলন এবং সমাজসংস্কারের ঢেউ ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মতো আসামেও প্রভাব বিস্তার করেছিল। হেমচন্দ্র বড়ুয়া, গুণাভিরাম বড়ূয়ার মতো অনেকেই সেদিন বিদ্যাসাগরের দেখানো পথে অসমীয়া সমাজের অন্ধতা-কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন। গুণাভিরাম বড়ূয়া কলকাতায় পড়াশুনা করতে এসে প্রত্যক্ষভাবে বিদ্যাসাগরের সংস্পর্শে আসেন, বিদ্যাসাগরের দ্বারা সংঘটিত প্রথম বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন এবং আসামে ফিরে লেখালিখির মাধ্যমে সচেতনতা প্রচারে ব্রতী হন। ‘রামনবমী’ নামে একটি নাটকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের মর্মান্তিক যন্ত্রণা ও কুপ্রভাবের কথা মর্মস্পর্শী ভাবে তুলে ধরেন তিনি। পণপ্রথা-বহুবিবাহ-বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে যেটুকু সচেতনতা, জনমত আজ গড়ে উঠেছে তা এমন জানা-অজানা অসংখ্য মানুষের কঠোর শ্রম ও সংগ্রামের ফসল। আসামে হোক বা অন্য রাজ্যে, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে কার্যকরী লড়াই হতে পারে একমাত্র এই প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথেই। যে বিজেপি আজ বাল্যবিবাহ নিয়ে রণং দেহি মূর্তি নিয়েছে, তার কথায়, কাজে, চর্চায় কোথাও কি এই সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা, স্বীকৃতি আছে?
ভারতে বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ইউনিসেফ-এর সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় বাল্যবিবাহের সাথে শিক্ষার অনিবার্য সম্পর্কের বিষয়টি আবারও উঠে এসেছে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার ২০১৯-‘২১-এর তথ্য দেখাচ্ছে, যেসব রাজ্যে মেয়েরা দশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে স্কুলে গেছে, সেই সব রাজ্যে বাল্যবিবাহের আনুপাতিক হার কম। এ ক্ষেত্রে আসামের গ্রামগুলোর চিত্র বলছে, অন্তত দশ বছরের স্কুলজীবন আছে এমন মেয়ে মাত্র ২৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৭৪ শতাংশেরই শিক্ষার সঙ্গে কোনও যোগ নেই। কুড়ি থেকে চব্বিশ বছর বয়সি মেয়েদের ৩৩ শতাংশের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। এই যখন আসামের অবস্থা, সেখানে বাল্যবিবাহ আটকাতে সরকারের প্রথমেই উচিত ছিল শিক্ষার পরিসরের বাইরে থেকে যাওয়া এই ৭৪ শতাংশ মেয়ের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, গ্রামে গ্রামে বেশি সংখ্যায় স্কুল খোলা, শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নত করা। অথচ বাস্তবে ঘটছে ঠিক উল্টো। গতবছরের সেপ্টেম্বরে আসাম সরকার ১৭০০টিরও বেশি সরকার-পরিচালিত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেয় এবং নীতি আয়োগের সুপারিশ মেনে এসব স্কুলকে অন্যান্য স্কুলের সাথে মিলিয়ে দেয় (মার্জার)। বলা বাহুল্য, এতগুলো স্কুল উঠে যাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের নারীশিক্ষার ওপর। খরচ, নিরাপত্তা, শারীরিক সমস্যা সবকটি কারণেই দূরের স্কুলে যাতায়াতের অসুবিধায় সব থেকে বেশি ড্রপআউট হয় মেয়েরা এবং এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। লক্ষণীয়ভাবে যেসব অঞ্চলে এই স্কুল উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, খোদ সরকারি হিসাবেই সেইসব অঞ্চলে গত কয়েক বছরে বাল্যবিবাহ এবং নাবালিকা মাতৃত্বের হারও বেড়েছে।
সাধারণ বুদ্ধিই বলে, বাল্যবিবাহ রোধের নামে এই চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতা বাল্যবিবাহ রোধে একবিন্দুও সহায়ক তো হবেই না, উপরন্তু যেটুকু সচেতনতা প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে রাজ্যে গড়ে উঠেছিল বা গড়ে তোলা যেত, তাকেও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, ভয় অবিশ্বাস ও বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করবে। কুড়ি বছর ধরে বিজেপি শাসনে থাকা গুজরাটে বাল্যবিবাহ এবং শিশুমৃত্যুর হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক, বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যেও বাল্যবিবাহ আছে। অথচ সেখানে তারা নীরব দর্শক হয়ে আছেন। কাজেই দুয়ে দুয়ে চার এর মতো আসামের ঘটনার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য স্পষ্ট হচ্ছে। যারা দেশজুড়ে একের পর এক প্রতিবাদীকে মিথ্যে মামলায় জেলবন্দি করেন, যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিলকিস বানো মামলার ধর্ষক-খুনিরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায় এবং অভ্যর্থিত হয়, কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা যে দলের নেতামন্ত্রীরা অনায়াসে যখন তখন একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন, তারা আর যাই হোক আসামের বুকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন না।
আসামের এইসব দরিদ্র জেলাগুলি অনেকাংশেই মুসলিম প্রধান। এই ‘বাল্যবিবাহ বিরোধী অভিযান’-এর অজুহাতে আসলে রাজ্যের দরিদ্র মুসলিম জনগণের ওপর তারা নতুন করে নিপীড়ন শুরু করছেন, তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পুরে সবক শেখাতে চাইছেন। অন্য দিকে ‘মুসলিমরাই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন’ বলে জনমানসে একটা বার্তা দিতে চাইছেন যে, মুসলিম ধর্মের লোকেরাই এমন একটি কুপ্রথার পক্ষে। বাস্তবে ধর্মপরিচয় হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান যাই হোক না কেন, অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষের মধ্যেই বাল্যবিবাহের হার বেশি, এর সাথে ধর্মের সরাসরি সংযোগ নেই। ২০১১-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা ভারতে দশ বছরের আগে বিবাহিতদের ৮৪ শতাংশই ছিল গ্রামীণ হিন্দু। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি এসব তথ্য পরিসংখ্যানের ধার ধারে না। ধর্মীয় বিভাজনই এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বিজেপির তুরুপের শেষ তাস। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের নূ্যনতম যে দায়দায়িত্ব তার সবকটিতে ব্যর্থ হয়ে, কী দেশে কী রাজ্যে এখন সাম্প্রদায়িক জিগির তুলেই বিজেপি নেতারা ভোট টানতে চাইছেন। গোটা দেশেই মানুষের সামনে বিজেপি-আরএসএস এর এই ভোটসর্বস্ব রাজনীতির আসল চেহারাটা ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। আসামেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তাদের এই ঘৃণ্য চালাকি ধরা পড়ে গেছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শোষিত সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনই আগামী দিনে এই বিষাক্ত সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রতিহত করবে।