Breaking News

বাংলাদেশে বিরাট কৃষক কনভেনশন

কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা, সার-বীজ, কীটনাশক সহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমানো, খেতমজুরদের সারা বছরের কাজের নিশ্চয়তা, ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চালু, কালোবাজারি রোধ, আর্মি-পুলিশের রেটে রেশন সহ ১৯ দফা সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রংপুরে টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ খেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আহসানুল আরেফিন তিতুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অজিত দাসের সঞ্চালনায় কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন ভাষা সৈনিক মোঃ আফজাল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, বাংলাদেশ খেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, গাইবান্ধা জেলার সভাপতি আহসানুল হাবীব সাঈদ, কিশোরগঞ্জ জেলার সংগঠক আলাল মিয়া, নীলফামারী জেলার নেতা রফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক, আলুচাষি সাইফুল ইসলাম, আখচাষি রবিউল ইসলাম সহ সারা দেশ থেকে আগত কৃষক নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্র-জনতার আত্মদান ও রক্তের বিনিময়ে আবারও বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের আকাঙক্ষা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি শোষণ-বৈষম্যের শিকার কৃষক-খেতমজুরদের আশা আকাঙক্ষাকে বাস্তবায়িত না করে বৈষম্যহীন দেশ নির্মাণ সম্ভব নয়। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে কৃষকের স্বার্থের পরিপূরক কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কৃষি উপকরণ ও ফসলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কিছু দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও কোম্পানির সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। স্বাধীনতা পরবর্তী সমস্ত সরকার এই সব পুঁজিপতি গোষ্ঠীর স্বার্থে কৃষি সংক্রান্ত নানা বিধিবিধান তৈরি করেছে। ফলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক-খেতমজুর-ভূমিহীন গরিব মানুষ সবসময় শোষিত ও বঞ্চিত হয়ে আসছে। এর বিরুদ্ধে তাঁরা কৃষক-খেতমজুরদের অধিকার আদায়ে ইস্পাতদৃঢ় সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।