সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক স্মরণীয় চরিত্র শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। সিপিএম আমলে উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙা, গাইঘাটা, সুটিয়া, ঠাকুরনগর অঞ্চলগুলিতে চোরাচালান, অবৈধ মাছের ভেড়ি, বেআইনি ইটভাটা ইত্যাদি নিয়ে একটা শক্তিশালী অপরাধগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দেন বরুণ বিশ্বাস সহ অন্যরা। গড়ে ওঠে সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চ। সরকার বদলালেও অপরাধ চলতে থাকে। ২০১২ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যায় গোবরডাঙা স্টেশনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সমাজবিরোধীরা।
বরুণ বিশ্বাস সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গড়ে ওঠা ‘শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ’-র উত্তর-মধ্য কলকাতা শাখার অন্যতম সংগঠক ছিলেন, যুক্ত ছিলেন ‘সেভ এডুকেশন কমিটি’র সাথেও।
গত ৫ জুলাই ‘বরুণ বিশ্বাস স্মৃতিরক্ষা কমিটি’ শ্রদ্ধায় এই সংগ্রামী চরিত্রকে স্মরণ করে। বরুণ বিশ্বাসের স্কুল শিয়ালদা মিত্র ইনস্টিটিউশনের সামনে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, কমিটির সহ সম্পাদক ও শিক্ষক অনাথ মৃধা, আবৃত্তিশিল্পী রণেন্দ্রনাথ ধাড়া এবং কমিটির অন্যতম সহ সভাপতি প্রাক্তন শিক্ষক তপন সামন্ত। হুগলির পশ্চিম শিকটা, উত্তরপাড়া, ঝাড়গ্রাম, লালগোলা, রানাঘাট, বনগাঁ, সুটিয়া, মথুরাপুর, গড়িয়া, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দ্যোগে এসপ্ল্যানেডে, টিআইএফআর হায়দরাবাদ সহ নানা স্থানে বরুণ বিশ্বাস স্মরণে অনুষ্ঠান হয়।