১৬ সেপ্টেম্বর হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ আন্দোলনে হাওড়া স্টেশনে হকারদের উপর রেল পুলিশের ব্যাপক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করেছেন এআইইউটিইউসি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস। তিনি বলেন, রেলের সাধারণ যাত্রী, নিম্নবিত্ত যাত্রী এবং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের হাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ সস্তায় তুলে দিয়েই হকাররা জীবিকা নির্বাহ করে। এই বিশাল বাজার বহুজাতিক সংস্থা দখল করতে চায় বলেই তারা রেল কর্তৃপক্ষ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ। বহুজাতিক সংস্থার এই বাজার তৈরি করে দিতেই রেল কর্তৃপক্ষ হকার উচ্ছেদ করতে কোমর বেঁধে নেমেছে।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী হকার আন্দোলনের চাপেই গড়ে উঠেছিল ‘ন্যাশনাল হকার পলিসি’। এই জাতীয় হকার নীতি মেনে হকার আইন ২০১৪ (প্রোটেকশন অফ লাইভলিহুড অ্যান্ড রেগুলেশন) তৈরি হয়। সাধারণ মানুষের অর্থে গড়ে ওঠা রেল ও রেল চত্বরকে কেন্দ্রীয় সরকার বহুজাতিক সংস্থা ও বড় বড় পুঁজিপতিদের বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করতে দেবে বলে রেল কম্পার্টমেন্টে হকারদের উঠতে দিচ্ছে না, রেল চত্বরে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না। যারা করছে তাদের উপর চলছে নানা ধরনের অত্যাচার। আমরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে হকারদের রেল কম্পার্টমেন্টে এবং রেল চত্বরে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।