বাজারে আলু পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সবজির দামে আগুন৷ আলু ২০–২৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৫০–১৬০ টাকা৷ বিপর্যস্ত মানুষ বাজারে গিয়ে নাজেহাল৷ ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসটুকু কিনে উঠতে পারছেন না৷ প্রতিদিন কী খাবার পাতে দেবেন – এই দুশ্চিন্তা৷ কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার উভয়ই নীরব৷ অথচ ফসল যখন উঠেছে চাষি তখন দাম পাননি৷ ঋণগ্রস্ত চাষি ২ টাকা কেজি দরে আলু, ৪–৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন৷ জলের দরে কিনে এখন চলছে ফড়ে, আড়তদার, মহাজনদের কারসাজি৷ বিপুল মুনাফা ঘরে তুলছে মজুতদার আড়তদাররা৷ তাদের পেছনে আছে সরকারের নেতা–মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদত৷
সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে পেঁয়াজ–লবির বিপুল পরিমাণ টাকা খেটেছে৷ মরছে গরিব চাষি, গরিব–নিম্নবিত্ত–মধ্যবিত্ত ক্রেতারা৷ আলু পিঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিতে এবং জেলায় ডেঙ্গু ও স্ক্রাব টাইফাসের প্রতিরোধের দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর এস ইউ সি আই (সি)–র পক্ষ থেকে বহরমপুর শহরে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷
এদিন শহরের গ্র্যান্ট হল থেকে পিঁয়াজের প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে সুসজ্জিত মিছিল জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়৷ পরে লালদিঘির পাড় ঘুরে টেক্সটাইল মোড়ে মিছিল শেষ হয়৷