বিজ্ঞানীদের সৌজন্যে কল্পজগতের সীমানা ভেঙে চাঁদ এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’-র বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা, যাঁদের অক্লান্ত গবেষণা ও কঠিন পরিশ্রমে চন্দ্রযান-৩ চাঁদে সফল ভাবে অবতরণ করতে পারল, তাঁদের সকলকে অভিনন্দন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে চন্দ্রযান-৩ যে সব বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করবে তা থেকে চাঁদের জন্ম, গঠন, তার খনিগর্ভের সম্পদ ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে। এই অভিযান নিশ্চয় পৃথিবীর ইতিহাস ও বিবর্তন সংক্রান্ত অজানা বিষয়গুলি সম্পর্কে গবেষণাতেও সাহায্য করবে এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের মহাকাশ গবেষণায় অনুপ্রাণিত করবে।
চন্দ্র অভিযানের এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই সাফল্য সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই একটা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মনে রাখা দরকার, যে জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এই সাফল্য ভারত পেল, সেই জ্ঞান সৃষ্টির পিছনে রয়েছে গোটা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের সংগ্রাম। বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানীরা যুগ যুগ ধরে বস্তুজগতের নিয়মগুলি জানতে ও প্রয়োগ করতে যে কঠিন পরিশ্রম করে চলেছেন, তা-ই এই জ্ঞানের উৎস। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের চন্দ্র অভিযানের এই সাফল্য উদযাপন করতে গিয়ে পূর্বসূরী দেশবিদেশের এই বিজ্ঞানীদের অবদান অবশ্যই সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করতে হবে।