রাজ্য সরকারের ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করল এআইডিএসও। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, এআইডিএসও ২০-২১ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজ ছাত্র সহ শিক্ষক-অভিভাবকদের উপস্থিতি ও সমর্থন ছিল চোখে পড়ার মতো, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে তাঁদের সমর্থনেরই প্রতিফলন। অথচ সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশিকা না দিয়ে প্রাইমারি ছাত্রদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করল। যা শুধু হাস্যকরই না, অভিসন্ধিমূলক। পাশাপাশি মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে শিক্ষাদপ্তরের কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা মনে করি আসলে রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনায় অনলাইন শিক্ষার নামে নানা অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা একদিকে এই শিক্ষাব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা মুনাফার সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে যারা এর বিরাট খরচ বহন করতে পারছে না, তাদের শিক্ষার আঙিনা থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। গত দু’বছরে এই রাজ্যে লক্ষাধিক ছাত্র পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। এদের নিয়েও শিক্ষামন্ত্রী নীরব।
তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে আগামী ১-৭ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের সর্বভারতীয় কমিটি দাবি সপ্তাহ পালনের ডাক দিয়েছে। ২৮-৩০ জানুয়ারি ৩ দিনে রাজ্যে ৩০০ প্রতিবাদী সভা করা হবে, ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ হবে, ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রশাসনিক দপ্তরে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন হবে, ৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ বিরোধী অনলাইন সভা হবে এবং ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ নামক প্রহসনের সার্কুলার পোড়ানো হবে।