স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীদের পছন্দসই ও তাদের স্বার্থরক্ষার কাজে যোগ্য রাজনৈতিক দলের গদি রক্ষার গ্যারান্টি হল বহু বিতর্কিত ইলেক্টোরাল বন্ড।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বলেছিল– ‘আমরা কাগজ দেখাবো না’। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
পাঁচ বছর ধরে একটা রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখার জন্য যে পরিমাণ পুঁজি ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ওই দলের ফান্ডে কর্পোরেট মালিকরা ঢেলেছেন, সেই পরিমাণ পুঁজি ব্যাঙ্কে বা শিল্পে ওই পাঁচ বছর খাটলে যে লাভ হত তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? বিভিন্ন সরকারি ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান থেকে এই ক্ষতিপূরণ আদায়ের সহজ ও পরিপুষ্ট ব্যাবস্থাপনা করে দেওয়াই হল ইলেক্টোরাল বন্ডের স্বাভাবিক শর্ত। যার ফলশ্রুতিতে মোদি সরকার গত দশ বছর ধরে একে একে সমস্ত সরকারি পরিষেবাগুলিকে (রেল, বিএসএনএল পরিষেবা, বিমানবন্দর ও জাহাজ বন্দর পরিষেবা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি বাজেট কমিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি ইত্যাদি) আদানি ও আম্বানিদের হাতে তুলে দিয়ে তাঁর দেওয়া শর্ত পূরণ করে চলেছেন।
ইলেক্টোরাল বন্ডের এই সহজ অঙ্কটা বুঝতে পারলে, নির্বাচনী বন্ডের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে মানুষ বুঝতে পারবেন।
ডাঃ দীপক গিরি, পশ্চিম মেদিনীপুর