বিগত প্রায় আট দশকে অসংখ্য ভোট প্রমাণ করেছে ভোটে জেতে অর্থশক্তি, প্রচারশক্তি এবং পেশিশক্তির অধিকারী দল। মানুষ জেতে নীতি-আদর্শ ভিত্তিক লড়াই করে। দীর্ঘদিনের সংগ্রাম মানুষের উপলব্ধির তন্ত্রীতে কীভাবে সুর হয়ে বাজে তার একটা অভিজ্ঞতা রাখছি।ভোটের প্রচারের সময় একদিন এক মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক বললেন, আপনারা তো ৪২টি আসনেই জিতে বসে আছেন।অপ্রস্তুত হয়ে কী এর মর্মার্থ জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, অন্য পার্টিগুলির প্রার্থীদের পরিচয় মানুষ জানে। আরও জানে, তারা রাজনীতিতে এসেছে জনগণকে লুঠ করার জন্য। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, ধাপ্পা দিয়ে, ভোটে জিতে নিজের আখের গোছানোর জন্য। এ জিনিস জনগণ জেনেও অত্যন্ত ঘৃণার সাথেই এদের ভোট দেয় খানিকটা নিরুপায় হয়ে। এই দলগুলির নেতারা সবাই জনগণের ঘৃণারই পাত্র। কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে আপনাদের প্রতিটি প্রার্থী সৎ নির্ভীক শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে বিবেচিত। মানুষের চোখে আপনারা শ্রদ্ধার পাত্র। এটা আপনাদের নৈতিক জয় কি না, বলুন। এই নৈতিক জয়ই একদিন আপনাদের পূর্ণ জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। কথা শুনতে শুনতে তন্ময় হয়ে ভাবছিলাম, আমিও এই দলেরই একজন। দলের একজন সৈনিক হতে পেরে আমিও মনে মনে গর্ব অনুভব করলাম।
গৌতম দাস
মালদা