এ সমস্ত কথা কাকে বলব? জানা নেই।
কোনও নেতা-মন্ত্রীকে বলে কিছু হবে না তা জানি। অগত্যা কলম ধরলাম। খবর পেলাম আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম তিন মুখ ডাঃ অনিকেত মাহাতো, ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়া ও দেবাশিষ হালদার তিনজনকেই কাউন্সিলিংয়ের নিয়ম ভেঙে বেআইনিভাবে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে অনেক দূরে। কারণটা সকলেই বুঝেছেন। খবরটা শুনে রাস্তাঘাটে, অফিসে, ট্রামে-বাসে সর্বত্রই মানুষজন বলছে– ‘গায়ের ঝাল মিটিয়ে নিল একেবারে’।
কিন্তু বিষয়টা কি শুধুই তাই? আন্দোলন যে শুধু ডাক্তাররাই করেছিলেন, তা তো নয়! আন্দোলন তো আমার মতো সাধারণ ছা-পোষা লোকজনও করেছিল, জাস্টিসের দাবি নিয়ে আমরাও তো পথে নেমেছিলাম। আসলে এই হেনস্থার মধ্য দিয়ে সরকার বার্তা দিতে চাইল, যদি তুমি প্রশ্ন কর, যদি তুমি রাস্তায় নাম, তা হলে তোমাকেও এ রকম হেনস্থার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু সরকারকে আমরাও জানিয়ে দিতে চাই, সকালের গরম চা থেকে শুরু করে রাতের রুটির় সময় পর্যন্ত আমরা সব সময় হেনস্থা হতে থাকি বাসে, ট্রামে, বাজারে দোকানপাটে, অফিসে, ব্যাঙ্কে,রেশনের দোকানে, সর্বত্র। কোথায় আমরা হেনস্থা হই না? অতএব হেনস্থার ভয় আমাদের দেখাবেন না। বরং নিজেরা তৈরি থাকুন এটা ভেবে যে, সাধারণ মানুষ আবার রাস্তায় নামলে সামলাতে পারবেন কি না! তাই আবারও বলছি, ভয় দেখাবেন না!
শবনম সাজু, বেলেঘাটা
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা ৬ – ১২ জুন ২০২৫ এ প্রকাশিত