১০ আগস্ট ছিল নদিয়া জেলার পলাশিপাড়া থানায় তেহট্ট-২ ব্লকে পলশুন্ডা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন। কারওরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় পঞ্চায়েতের অবস্থা ছিল ত্রিশঙ্কু। সিপিআই(এম) ৮, তৃণমূল ৭, এস ইউ সি আই (সি) ২, নির্দল ১ এবং বিজেপি ১।
এস ইউ সি আই (সি)-র নদিয়া (উত্তর) সাংগঠনিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকেআগেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, দক্ষিণপন্থী তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলের বিশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী বোর্ড গঠনে সিপিআই(এম)-কে সমর্থন জানানো হবে।
পঞ্চায়েতের ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী সারা রাত গ্রাম জুড়ে ব্যাপক বোমাবাজি করে ভয়ানক সন্ত্রাস চালায়। পুলিশকে জানানো হলে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা দূরের কথা, তারা এস ইউ সি আই (সি) কর্মীদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অভিযোগ করে। ১৩ আগস্ট রাতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে আবার হামলা চালায়, একটি বাড়িতে আগুন লাগায়। গুলি চালিয়ে আরমান সেখ নামে এক এস ইউ সি আই (সি) কর্মীকে আহত করে। তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পরদিন ভোর থেকে আবার আক্রমণ শুরু হয়। একজন কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে আটকে রাখে। দুষ্কৃতীরা গোটা গ্রাম ঘিরে রাখে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।