আন্দোলনের ইতিহাসে সাহস ও সংগ্রামী ঐক্যের নজির সৃষ্টি করলেন প্রতিবাদী আশা-অঙ্গনওয়াড়ি-পৌর স্বাস্থ্যকর্মী মহিলারা, গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি।
অপরিসীম কাজের চাপ। মূল কাজের সঙ্গে ক্রমাগত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দায়িত্ব। কাগজে-কলমে চার ঘন্টা ডিউটির কথা থাকলেও বাস্তবে সপ্তাহে সাত দিন চব্বিশ ঘন্টা কাজ। দিন বা রাত—ডাক পড়লেই হাজির হতে হবে। কিন্তু এই দুর্মূল্যের বাজারে গত চার বছর ধরে এক পয়সাও ভাতা বাড়েনি। ভিক্ষের মতো ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে যৎসামান্য টাকা। রয়েছে আরও অসংখ্য বঞ্চনা। আশা ছিল, এবারের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেট নিশ্চয় সুখবর নিয়ে আসবে। অন্তত মন্ত্রী-অফিসারদের প্রতিশ্রুতি তেমনই ছিল। কিন্তু কি কেন্দ্র, কি রাজ্য—দেখা গেল, দুই সরকারের কেউই বছরের পর বছর ধরে কাজের চাপে পিষ্ট, বঞ্চিত হতে থাকা এই কর্মীদের ন্যায্য দাবিতে কান দিতে রাজি নয়। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে বসেছে রাজ্যের ৭০ হাজার আশাকর্মী ও তিন লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকার। তাঁদের প্রবল ক্ষোভ সেদিন আছড়ে পড়েছিল কলকাতার বুকে।
১২ ফেব্রুয়ারি এআইইউটিইউসি অনুমোদিত আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার মহিলা এসপ্ল্যানেড অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে প্রতিনিধিদলকে খালি হাতে ফিরতে হয়। সেদিনের মতো কর্মসূচির সমাপ্তি ও পরদিন রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষিত হলে অবরোধ উঠে যায়। কর্মীরা যখন ঘরে ফেরার পথে, একদল যখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন, অন্যেরা বিচ্ছিন্ন ভাবে এদিকে-ওদিকে ছড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ে অতর্কিতে তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল সরকারের পুলিশ। বিস্মিত, অপ্রস্তুত বিক্ষোভকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করে, চুল ধরে টেনে ছিঁড়ে দেয় পুলিশ। এমনকি ওড়নার ফাঁসে শ্বাস রুদ্ধ করার চেষ্টাও করে। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে পুরুষ পুলিশ দিয়েও টানা-হেঁচড়া করা হয় মহিলা-কর্মীদের। আটক হওয়া বিক্ষোভকারীদের নিয়ে লালবাজার লক আপের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ ভ্যান।
ইউনিয়নগুলির নেতৃবৃন্দ সহ সহকর্মীদের গ্রেফতার হতে দেখে পুলিশ ভ্যানের দিকে বাঁধভাঙা বন্যার মতো ছুটে যান উপস্থিত কয়েকশো বিক্ষোভকারী। পুলিশ তাঁদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রেফতার না হওয়া কর্মীরা গভীর রাত পর্যন্ত লালবাজারে পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দাবি তোলেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে।
গ্রেফতার হওয়া আহত রক্তাক্ত বিক্ষোভকারীরা সারা রাত লক আপে আটক থাকেন। পরদিন কোর্টে তোলার পর ব্যক্তিগত জামিনে তাঁদের ছাড়া হয়। সেদিন রাতে অব্যবস্থায় ভরা অস্বাস্থ্যকর লক আপে বিশ্রাম নেওয়ার সুব্যবস্থা তো দূরের কথা, প্রয়োজনীয় ওষুধটুকুও মেলেনি তাঁদের।
এদিকে লড়াইয়ের সাথীদের উপর পুলিশি হামলা ও তাঁদের গ্রেফতারির খবর সর্বত্র ছড়িয়ে গেলে প্রতিবাদে পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে বিপুল সংখ্যক আশাকর্মী, পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা– একযোগে যাঁদের ‘স্কিম ওয়ার্কার’ বলা হয়—সকলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাজ বন্ধ করে দেন। রাজ্য জুড়ে সার্বিক কর্মবিরতি পালিত হয়। এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে দলে দলে সামিল হয়ে বাজেটের প্রতিলিপি জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঞ্চিত অত্যাচারিত স্কিম ওয়ার্কারদের ক্ষোভের আগুনে। দাবি আদায়ে আগামী দিনে আন্দোলন তীব্রতর করার শপথ নেন তাঁরা।
শহর-মফস্বল ও প্রত্যন্ত গ্রামের অতি সাধারণ পরিবারের মহিলারা আশাকর্মী, পৌর স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকার কাজ করেন। অনেকেই গৃহবধূ। ঘরে শিশু সন্তান, বৃদ্ধ ও অসুস্থ পরিজনদের রেখে এসেছেন অনেকে। কী ভাবে তাঁরা অর্জন করলেন এই নির্ভীকতা? কোথা থেকে এল সরকারি বঞ্চনার বিরুদ্ধে মাথা তোলার সাহস যা পুলিশি হামলার মুখে পড়া, ঘরের শান্ত নিরুপদ্রব পরিবেশ ছেড়ে লক আপে রাত কাটানোর মতো অভাবনীয় ঘটনাকে উপেক্ষা করতে শেখায়? প্রশ্নগুলি রাখা হয়েছিল বিভিন্ন জেলার কয়েকজন আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও পৌর স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে যাঁরা সেদিন গ্রেফতার হয়ে লালবাজার লক আপে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। উত্তরে যা উঠে এল, তা গণআন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, প্রেরণা জোগাবে আগামী দিনের সংগ্রামীদের।
প্রশ্ন ছিল, ১২ তারিখে যখন কলকাতার দিকে রওনা হলেন, একবারও কি ভেবেছিলেন, রাতে বাড়ি ফেরা না-ও হতে পারে?
উত্তর আসে—‘এর আগে বেশ কয়েকবার আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় এসেছি। বিক্ষোভ দেখিয়েছি, অবরোধ করেছি রাস্তা। কিন্তু প্রতিবারই ফিরতে পেরেছি। এবার যে ফেরা হবে না, ভাবিনি।’
—পুলিশ যখন গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলল, তখন কী মনে হচ্ছিল? ভয় পেয়েছিলেন?
সমস্বরে তাঁরা উত্তর দেন—‘একটুও ভয় পাইনি। বরং প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিল। ন্যায্য দাবি জানাতে এসেছি। অবরোধও উঠে গেছে। তার পরেও এ ভাবে জানোয়ারের মতো করে মারধর করে, চুল টেনে, ধস্তাধস্তি করে পুলিশ গ্রেফতার করল কেন’?
—ঘরে রেখে আসা বাচ্চার মুখ মনে পড়েনি? কিংবা সংসারে স্বামী বা অভিভাবকরা কী বলবেন ফেরার পর, এসব নিয়ে ভাবনা হয়নি?
—‘বিশ্বাস করুন, সেই সময় এক মুহূর্তের জন্যও বাড়ি, সংসার, সন্তান– কারও কথা মনে পড়েনি। শুধু ধিক্কার উঠে এসেছে পুলিশ, মন্ত্রী আর সরকারের প্রতি। মনে হয়েছে, যত অত্যাচারই হোক, ব্যক্তিগত ভাবে যে অসুবিধার মুখেই পড়তে হোক না কেন, লড়াই ছাড়বো না। কেন এই ভয়ঙ্কর বঞ্চনা—জবাব না নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করবো না। তাতে যা হয় হবে।
হুগলির এক আশাকর্মী বললেন, ‘ওই মুহূর্তে তো নয়ই, এমনকি লক আপে ঢোকার পরেও বাড়ির কথা কারওরই মনে ছিল না। বরং ভাবনা ছিল, ইউনিয়নের নেত্রীরা সহ আমরা বিভিন্ন জেলার ৩০ জন ইউনিয়নের সামনের সারির কর্মী গ্রেফতার হয়ে গেলাম, এই অবস্থায় পরদিনের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঠিক ভাবে করা যাবে তো’! তিনি বলে চলেন—‘তাই, লালবাজারে আমাদের যখন মাত্র একবার বাড়িতে ফোন করার অনুমতি মিলল, তখন শুধু রাতে ফিরতে পারব না এটুকু জানিয়েই স্বামীকে বলি আমার দুই সহকর্মীকে খবর দিতে, যাতে পরদিন কর্মবিরতি ঠিকমতো পালিত হয়’।
পূর্ব মেদিনীপুরের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বললেন, ‘পরের দিনের কর্মবিরতি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তাই ফোন করার সুযোগ পেয়েই আমি এলাকার এআইইউটিইউসি-র নেতার সঙ্গে কথা বলি, যাতে তিনি সব কর্মীকে খবর দেন। ওনাকেই বলি বাড়িতে আমার কথা জানিয়ে দিতে’।
—মনের এই জোর পেলেন কোথায়?
উত্তর ২৪ পরগণার এক পৌর স্বাস্থ্যকর্মী বললেন—‘এই জোর এসেছে আমাদের একতার শক্তি থেকে। যখন দেখলাম লক আপের ভিতরে আমরা ক’জন, আর বাইরে শয়ে শয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের সাথীরা—তারা পুলিশকে বলছে আমাদেরও গ্রেফতার করুন। কাঁদছে। ইউনিয়নের নেত্রীদের, সহকর্মীদের উপর পুলিশের অত্যাচারে চোখে জল ঝরছে তাদের। দেখে মনে বিপুল সাহস এসে গেল। বুকের গভীরে যেন উপলব্ধি করলাম, আমি একা নই। আমার সমস্ত সাথী সহকর্মীকে নিয়েই আমার নিজস্ব পরিবার। ঠিক করলাম, যা হয় হোক, লড়াই ছাড়ব না কোনও মতেই।’ তিনি বললেন, ‘পরদিন যখন আমাদের কোর্টে তোলা হল, দেখলাম, সাথীরা যারা গ্রেফতার হয়নি, ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে কোর্টের সামনে। আমাদের দেখেই জড়িয়ে ধরল। জল, চা-বিস্কুট কিনে এনে খেতে দিল। চোখে তাদের জল। কোর্টে আসা মানুষজনের চোখেও দেখলাম আমাদের প্রতি সম্ভ্রম ঝরে পড়ছে। তাঁরা বলছেন, ঘরে ঘরে গিয়ে আপনারা কী ভাবে পরিষেবা দেন, আমরা তো জানি! আপনাদের প্রতি এই বঞ্চনা অত্যন্ত অন্যায়।’
—ঘরের বৌ হয়ে লক আপে রাত কাটালেন! বাড়ি ফেরার পর পরিবারের প্রতিক্রিয়া কী দেখলেন?
উত্তর ২৪ পরগণার এক পৌর স্বাস্থ্যকর্মী জানালেন, তাঁর স্বামী খানিকটা মজার ছলেই হুমকি দিয়েছেন, ‘আর একবার যদি আন্দোলনে যাও, গ্রেফতার হও, ডিভোর্স দিয়ে দেব।’ জবাবে ওই স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়ে দিয়েছেন, ডিভোর্সই হোক আর যা-ই হোক, আন্দোলনের রাস্তা তিনি ছাড়বেন না। আবার অন্যরকম ছবিও আছে। হুগলির এক আশাকর্মীর স্বামী ওঁর সঙ্গে আন্দোলনের কর্মসূচিতে এসেছিলেন। অনেক রাত অবধি স্ত্রীর জন্য লালবাজারে তিনি অপেক্ষা করেছেন। পরদিন কোর্টেও এসেছিলেন স্ত্রীকে নিয়ে যেতে। এই আন্দোলনে তাঁর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা আছে।
তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল লালবাজার লক আপের ভিতরকার পরিস্থিতি নিয়ে। উত্তরে তাঁরা যা জানালেন, তা ভয়াবহ। অপরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর লক আপে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা। পানীয় জলের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারে একটা দরজা পর্যন্ত নেই। আহত আন্দোলনকারীদের শারীরিক সুস্থতার দিকেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। অতি প্রয়োজনীয় প্রেসার, সুগারের ওষুধ পর্যন্ত চেয়ে পাওয়া যায়নি লক আপে। প্রবীণ এক বিক্ষোভকারীর কিছুদিন আগে হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাঁকে পর্যন্ত জরুরি ওষুধপত্র দেওয়া হয়নি।
—তা সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন আপনারা! আবার যদি পুলিশ গ্রেফতার করে?
সপাটে উত্তর দিলেন কর্মীরা। বললেন, ‘লক আপ থেকে বেরোনোর সময় হার্টের রোগী ওই দিদি কী বলেছেন শুনবেন? বলেছেন, এর পর আন্দোলনে এলে এক মাসের ওষুধ সঙ্গে নিয়ে আসব। আমাদের, আমাদের সাথীদের মনের জোর এমনই। আমরা হার মানব না।’
প্রশ্ন করা হল—অবরোধ তো উঠেই গিয়েছিল। তার পরেও কেন আপনাদের গ্রেফতার করল পুলিশ?
সমস্বরে তাঁরা উত্তর দিলেন—‘আসলে পুলিশ এবং অবশ্যই সরকারও, আমাদের ভয় দেখাতে চেয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ভেবেছিল মারধর করে, রাতে আটকে রেখে আমাদের দমিয়ে দেবে। কিন্তু ঘটেছে ঠিক উল্টোটা। এই হামলা বরং আমাদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’ চোখগুলি ঝকঝক করতে থাকে বিক্ষোভকারী স্কিম-ওয়ার্কারদের। বলেন, ‘আমাদের এক নেত্রী, ঘরে তাঁর দুধের বাচ্চা। সঙ্গীদের গ্রেফতার হতে দেখে নিজে থেকে গিয়ে পুলিশ ভ্যানে উঠেছেন, লক আপে রাত কাটিয়েছেন, বাচ্চার কথা ভাবেননি। আমাদের আর এক নেত্রী ক্যান্সার-রোগী। আর রয়েছেন বিপুল সংখ্যার স্কিম ওয়ার্কার মেয়েরা। নিত্যদিন তারা শোষিত, বঞ্চিত হচ্ছে। এরা সবাই আমাদের লড়াইয়ের প্রেরণা। আমাদের ভয় দেখানোর, দমিয়ে রাখার সাধ্য নেই কারও।’ বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর গোটা রাজ্যের স্কিম ওয়ার্কারদের আন্দোলনমুখী মনোভাব তুঙ্গে উঠে গেছে। যারা ভয় পেয়ে একটু পিছিয়ে থাকে, তারাও সাহস পেয়েছে। সেই কারণেই পরদিনের কর্মবিরতি ও রাজ্যজোড়া বিক্ষোভের কর্মসূচি অসাধারণ ভাবে সফল হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় আমরা স্কিম-ওয়ার্কাররা যাঁদের অধীনে কাজ করি, সেই সুপারভাইজার, এএনএম-দের অনেকেও ১৩ ফেব্রুয়ারির কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের কর্মসূচি সমর্থন করেছেন। কোথাও কোথাও শাসক দলের কাউন্সিলররা পর্যন্ত সমর্থন জানিয়েছেন আমাদের! আসলে পুলিশ-প্রশাসনের এই অন্যায় আচরণ, হামলা শুধু গোটা রাজ্যের স্কিম ওয়ার্কারদের ঐক্য আরও শক্তিশালী করে দিয়েছে তাই নয়, আমাদের আন্দোলনের প্রতি রাজ্য জুড়ে মানুষের সমর্থনও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
প্রশ্ন করা হল, তা হলে আগামী দিনে আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে ভাবছেন?
উজ্জ্বল মুখে স্কিম ওয়ার্কাররা বললেন, ‘এবার দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনের প্রস্তুতি নেব আমরা। আন্দোলন আরও তীব্র হবে। লড়াইয়ের জন্য আমরা তৈরি।’
ন্যায্য দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন কী ভাবে সাধারণ পরিবারের ঘরোয়া মহিলাদেরও পাল্টে দেয়, রূপান্তরিত করে সাহসী, শপথদৃঢ় সংগ্রামী মানুষে—স্কিম ওয়ার্কারদের সাম্প্রতিক আন্দোলন আরও একবার তা দেখিয়ে দিল। লড়াকু এই স্কিম ওয়ার্কারদের দলের পক্ষ থেকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই।