Breaking News

নির্বাচনী বন্ডের আশীর্বাদেই বিদ্যুতের দাম যথেচ্ছ বাড়িয়ে চলেছে সিইএসসি

 

ফাইল চিত্র

অল বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-র সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস ২৬ মার্চ এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, কয়েকদিন ধরে ‘নির্বাচনী বন্ড’ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন চলছে। সংবাদে প্রকাশিত, কেন্দ্রের শাসক দল ও সংসদীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতোই বর্তমান রাজ্য সরকারি দল একচেটিয়া পুঁজিপতি গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ডে কয়েকশো কোটি টাকা নিয়েছে। শুধু হলদিয়া এনার্জি থেকেই নিয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।

দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের (পিডিসিএল) থেকে অনেক কম দামে বিদ্যুৎ পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হলদিয়া এনার্জি থেকেই কয়েক গুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার হিসাব দেখিয়ে বারবার বিদ্যুতের মাশুল বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন সিইএসসি, যা বিদ্যুৎ আইন-২০০৩ বিরোধী। অ্যাবেকা প্রতিবারই ওই অযৌক্তিক হিসাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং বিদ্যুতের মাশুল কমানোর জন্য পিডিসিএল-এর থেকে বিদ্যুৎ কেনার দাবি জানিয়েছে। এখন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কী কারণে প্রতিবারই সিইএসসি-র বিদ্যুতের মাশুল কমানোর দাবিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারি সংস্থা রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি বিদ্যুতের দাম কমালে পাছে সিইএসসি-রও দাম কমাতে হয়, তাই দাম কমানোর বাস্তব অবস্থা থাকা সত্ত্বেও এসইডিসিএল-র বিদ্যুতের মাশুলও কমানো হয়নি।

২০১৬-১৭ বর্ষ থেকে দেশীয় কয়লার দাম ৪০ শতাংশ কমেছে, কয়লার উপর জিএসটি ৭ শতাংশ কম, কোম্পানির টিডি লস ২ শতাংশ কম হওয়াতে বিদ্যুতের মাশুল ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে অ্যাবেকা। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির ২০১৬-১৭ বর্ষে গড় দাম ছিল ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ১২ পয়সা, সিইএসসি-র ছিল ৭ টাকা ৩১ পয়সা। বর্তমান বর্ষেও বিদ্যুতের গড় দাম একই আছে, এক পয়সাও কমানো হয়নি।

সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঘাড় মটকে দুটো কোম্পানিরই বিগত বছরগুলিতে প্রতি বছরই আইনসম্মত সাড়ে ষোল শতাংশ মুনাফা ছাড়াও শত শত কোটি টাকা অতিরিকত সাশ্রয় হয়েছে। ওই টাকাতেই বন্টন কোম্পানির ঝাঁ চকচকে অফিস বাড়ি হয়েছে, গোয়েঙ্কা শত শত কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজ্য সরকারি দলকে দিয়েছে, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অপ্রয়োজনীয় কয়েক লক্ষ টাকার ভাড়ায় নিউ টাউনে অফিস হয়েছে। অ্যাবেকার দাবি–রাজ্যের এই দুটি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির অ্যাকাউন্ট সিএজি-কে দিয়ে তদন্ত করা হোক ও তার রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। অন্যদিকে দুটো কোম্পানিরই বিদ্যুতের মাশুল কমাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।