১৯১৭-র ৭-১৭ নভেম্বর রাশিয়ার বুকে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের রাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী জার শাসনের অবসান ঘটিয়ে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাশিয়ায়। বিশ্বে প্রথম শোষণহীন সমাজ গড়ে উঠেছিল মহান লেনিনের নেতৃত্বে। তাঁর সুযোগ্য সহযোদ্ধা স্ট্যালিনের অমূল্য অবদানে বিপুল অগ্রগতি ঘটেছিল সমাজতন্তে্রর। জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষা-সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্য সব দিক থেকে মহত্তম এক সমাজ সৃষ্টি হয়েছিল। আজও নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামে প্রেরণা জোগায় নভেম্বর বিপ্লব। পুঁজিবাদী শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষ নভেম্বর বিপ্লবের শিক্ষা গ্রহণ করে, শপথ নেয় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরিপূরক আন্দোলন গড়ে তোলার।
সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় ৭-১৭ নভেম্বর এই ‘দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন’ পালিত হয় যথাযথ মর্যাদা সহকারে। মহান লেনিন ও স্ট্যালিনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও স্মারক ব্যাজ পরানো হয়। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য। নদীয়ার পলাশিপাড়া ব্লক কমিটির উদ্যোগে ১৭ নভেম্বর পলশুণ্ডা, দিঘিরধার বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড সেখ খোদাবক্স। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড গোপাল বিশ্বাস। ৭-১৭ নভেম্বর বাঁকুড়া জেলা অফিস সহ লক্ষ্মণপুর, ধলডাঙা, সিমলাপাল, খাতড়া, শালতোড়া, সোনামুখী, চিঙানি প্রভৃতি এলাকায় পথসভা, বুক স্টল হয়। এ সংক্রান্ত আরও কিছু সংবাদ গত সংখ্যা গণদাবীতে প্রকাশিত হয়েছে।
ত্রিপুরাঃ নভেম্বর বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় মিছিল এবং ওরিয়েন্ট চৌমুহনিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড অরুণ ভৌমিক।
দিল্লিঃ দিল্লির জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবরমতী ধাবায় ১৭ নভেম্বর মহান নভেম্বর বিপ্লবের কারিগর লেনিন-স্ট্যালিনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, মহান মার্ক্সবাদী নেতাদের উদ্ধৃতি প্রদর্শনী, বুক স্টল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এআইডিএসও-র দিল্লি রাজ্য সম্পাদিকা কমরেড শ্রেয়া বক্তব্য রাখেন।