এসএলএসটি-র নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরের প্রথম মেধা তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান আন্দোলন ৯ ডিসেম্বর ১০০০ দিনে পড়ল। শিক্ষা দপ্তর স্বীকার করেছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কারণে এই মেধা তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই শিক্ষাদপ্তর দু-দফায় নিয়োগ ও সুপারনিউমেরারি পদ তৈরির কথা ঘোষণা করেছে।
কিন্তু নোটিফিকেশন ও ঘোষণার ১ বছর পরেও এখনও চাকরি প্রার্থীদের কাজ দেওয়া হয়নি আইনি জটিলতার কথা বলে। তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের নামে কালক্ষেপ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর শূন্যপদ ২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি। পঠন-পাঠন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এআইইউটিইউসি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করেছে– মেধা তালিকাভুক্ত সকল প্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরির নিয়োগপত্র দিতে হবে, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সমস্ত শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে, সমস্ত অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ৯ ডিসেম্বর অবস্থানস্থলে গিয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস পুষ্পস্তবক তুলে দেন আন্দোলনকারীদের হাতে। আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
আনএমপ্লয়েড ইউথ স্ট্রাগল কমিটিঃ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের ১০০০তম দিনে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী প্রতিবাদস্বরূপ মাথা মুড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগের দাবি জানান। আনএমপ্লয়েড ইউথ স্ট্রাগল কমিটির রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় বিশ্বাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল পুষ্পস্তবক দিয়ে আন্দোলনকারীদের সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানান। রাজ্য সম্পাদক সেখানে অনুষ্ঠিত গণ কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে নিয়োগের দাবি জানান।