প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি ডাক দিয়েছেন ‘টিকা উৎসবে’র। সারা দেশে যখন করোনা রোগের প্রতিষেধক টিকার ঘাটতি চরমে সেই সময় উৎসব কেন? এ প্রশ্ন জনমানসে না উঠে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বভাবজাত চমক দেওয়ার চেষ্টাতেই মেতে থেকেছেন।
মনে পড়ে যাচ্ছে, গত ২০২০ সালে যখন সারা দেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, অভাব দেখা দিয়েছিল সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই, রোগীদের জন্য হাসপাতালের বেড, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন, ওষুধ ইত্যাদির– সেই সময় থালা বাজানো, প্রদীপ জ্বালানো, বাজি পোড়ানো, হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছেটানোর মতো সস্তা চমকের পিছনেই ছুটেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আজ নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ২ লক্ষের গণ্ডিকে ছাড়িয়ে গেছে। নূ্যনতম চিকিৎসার অভাবে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এমনকি রাজধানী দিল্লিতে পর্যন্ত প্রতিদিন শত শত করোনা রোগী মারা যাচ্ছেন। সরকার তথ্য চেপেও যা জানাচ্ছে তাকে ভয়াবহ বললেও কম বলা হয়। অথচ ঠিক এই সময় করোনা টিকার অভাবে ধুঁকছে দেশের নানা রাজ্যের ভ্যাক্সিনকেন্দ্রগুলি। বর্ষীয়ান নাগরিক ও কোমর্বিডিটি যুক্ত সকলের দু’ডোজ টিকা পাওয়া দূরে থাক বহুজনেরই একটি টিকাও জোটেনি। ১৩০ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দুটি ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ (জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ মাত্র)। সরকার ১২ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিনের দাবি করলেও দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যার অতি নগণ্য অংশই ভ্যাক্সিনের নাগাল পেয়েছেন। ৪৫ বছরের উপরে সকলকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি টিকা কেন্দ্র বিশাল লাইন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। তার উপর কোন দিন কোন টিকার কত ডোজ আসবে তা কেউ জানে না। এই যখন অবস্থা সেই সময় দেশে ভ্যাক্সিনের ঘাটতি না মিটিয়ে সরকার ব্যস্ত বিদেশে ভ্যাক্সিনপাঠাতে। দেখা যাচ্ছে সময় থাকতে ভারত সরকার ভ্যাক্সিনকেনার অর্ডারই দেয়নি। ফলে ভারতে তৈরি ভ্যাক্সিননিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলি অবাধে বিদেশে ব্যবসা করছে। শুধু ব্যবসা নয়, এর পিছনে কাজ করছে ভারত সরকারের বিদেশনীতি, কূটনীতির প্যাঁচ। দেশের মানুষের জীবন বাজি রেখে চলছে ভ্যাক্সিন কূটনীতি।
২৪ মার্চ পর্যন্ত ভারতে যত করোনা টিকা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে ৬ কোটি ডোজ রপ্তানি হয়েছে বিদেশে, ৫ কোটি ২০ লক্ষ ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে দেশের মানুষের জন্য। অর্থাৎ দেশের মানুষের জন্য যত ভ্যাক্সিন ব্যবহার হয়েছে তার থেকে বেশি গেছে বিদেশে। কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় জানিয়েছিল, সারা বিশ্বে ‘দায়িত্বশীল’ ভূমিকা নেওয়ার জন্য এবং ইউনেস্কো ও বিল গেটস ফাউন্ডেশন সহ নানা ব্যবসায়িক সংস্থার দ্বারা পিপিপি মডেলে চলা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন বা সংক্ষেপে ‘গাভি’-র কো-ভ্যাক্স কর্মসূচির সদস্য হিসাবে ভারত সরকার এই ভ্যাক্সিনবিদেশে পাঠাতে দায়বদ্ধ। এই বিদেশগামী ভ্যাক্সিনের ৮০ লক্ষ ডোজ বিনামূল্যে কিছু অতি দরিদ্র রাষ্ট্র এবং ছোট দ্বীপরাষ্টে্র বিতরণ করা হয়েছে, এক কোটির ডোজের কিছু বেশি ‘কো-ভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে কিছুটা কম দামে বিক্রি হয়েছে, বাকি পুরোটা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উচ্চ মুনাফার হারেই বিক্রি হয়েছে। এই বিক্রিতে বেসরকারি সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট সহ অন্য কোম্পানিগুলির ব্যবসায়িক লাভ কত, সে হিসেবটা স্থগিত রেখে এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকে নজর দেওয়া যাক। সেটি হল, বিদেশে ভ্যাক্সিনপাঠাতে ভারত সরকারের হঠাৎ এত উৎসাহ দেখা গেল কেন?
১২ মার্চ ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত ‘কোয়াড’-এর অনলাইন শীর্ষ বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের কথায়, মার্কিন প্রযুক্তি, জাপান এবং মার্কিন পুঁজি নিয়ে ভারতের মাটিতে ভ্যাক্সিন তৈরি হবে। তার সরবরাহের দায়িত্ব নেবে অস্ট্রেলিয়া। এই ভ্যাক্সিন কোয়াড সরবরাহ করবে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত অর্থাৎ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এবং ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের সংযোগস্থলে ছড়িয়ে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার আফ্রিকার ঘানা সহ নানা দেশ, এশিয়ার আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল ইত্যাদি ৭৬টি দেশে ভ্যাক্সিনপাঠিয়েছে। তার মধ্যে উন্নত বিশ্বের দেশ কানাডাও আছে। কানাডা, আমেরিকা এবং ব্রিটেন বিশ্বের ১৬ শতাংশ জনসংখ্যার অধিকারী হয়েও মোট উৎপাদিত ভ্যাক্সিনের ৬০ শতাংশের মালিক। তাদের নিজেদের দেশে উৎপাদিত ভ্যাক্সিনই তাদের মোট জনসংখ্যাকে বেশ কয়েকবার টিকা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। এই রকম একটি দেশ কানাডায় ভ্যাক্সিন পাঠানোর উদ্যোগ ভারত সরকার কেন নিল? কেনই বা কোয়াডের এত তৎপরতা? একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, এর পিছনে যে উদ্দেশ্যটা কাজ করছে তার নাম বাণিজ্যযুদ্ধ।
ভারতীয় উপমহাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বাজার ধরার উদ্দেশ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আজকের পুঁজিবাদী চীন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা, চীন সাগর সংলগ্ন দেশগুলিতে চীনা পুঁজির দাপটই প্রবল। এমনিতেই প্রবল সংকটে থাকা মার্কিন একচেটিয়া পুঁজিকে বাণিজ্যযুদ্ধে যথেষ্ট টেক্কা দিয়ে চলেছে চীন। সমাজতন্ত্র ত্যাগ করে পুরোপুরি পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে পরিণত চীনের পুঁজি মালিকরা রাষ্টে্রর সাহায্যে তার নিজের দেশের শ্রমিককে চরম শোষণ করে অতি সস্তায় উৎপাদিত পণ্যের সাহায্যে মার্কিন বাজারে অনেকটাই থাবা বসিয়েছে। এই বাজার পুনরুদ্ধার করতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঢুকতে ভারতের শক্তিশালী একচেটিয়া পুঁজিকে দোসর হিসাবে চাইছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিমালিকরা। একই কারণে একদা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে মার্কিন পুঁজির এখন প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্ব এখানে প্রধানত ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত। আবার চারটি দেশের নিজ নিজ একচেটিয়া মালিকদের বাজার দখলের সাধ এবং স্বার্থও এতে জড়িয়ে আছে। এক্ষেত্রে শুধু সামরিক তাকত দেখালেই তাদের চলবে না। নানা কলাকৌশল নিতে এই কোয়াড গোষ্ঠী বদ্ধপরিকর। সস্তা চীনা পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নিজেদের পণ্য বাজারে ঢোকাতে গেলে তার দাম সস্তা করার প্রয়োজন। তাই মার্কিন শ্রমিকের তুলনায় অনেক সস্তায় ভারত সহ এশিয়ার নানা দেশে শ্রমিককে খাটিয়ে পণ্য উৎপাদনের সুযোগ নিতে চাইছে মার্কিন-জাপান এবং ভারতীয় কর্পোরেট পুঁজিমালিকরা। এই কারণে নরেন্দ্র মোদির মুখে বারবার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান শোনা যাচ্ছে। ভারতীয় একচেটিয়া মালিকদের উদ্দেশ্য মার্কিন একচেটিয়া পুঁজির সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ইত্যাদি বাজারের ভাগ পাওয়া। সে জন্য ভারতে ইতিমধ্যেই নতুন ‘শ্রম কোড’ চালু হয়েছে, যাতে অতি সস্তায় শ্রমিককে খাটানো যায়।
কিন্তু বাজার ধরতে গেলে এই অঞ্চলের দেশগুলির মানুষের মধ্যে বজায় থাকা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার মনটিকে একটু একটু করে নরম করাও তাদের প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে করোনা মহামারি ভারতীয় একচেটিয়া মালিকদের সামনে একটা সুযোগ হিসাবে এসেছে। তাই অতি দ্রুত ভ্যাক্সিননিয়ে তারা বিভিন্ন দেশের বাজারে ঢুকতে চাইছে। করোনা প্রতিরোধের নামে বাণিজ্যটাই এখানে প্রধান। দেখা গেছে মায়ানমারে যখন সামরিক বাহিনী মানুষকে নিধন করছে, সেই সময় ভারত সরকার জোরালো কোনও প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু চীন মায়ানমারকে ৩ লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিনদিচ্ছে জেনেই তাদের আগে তড়িঘড়ি ভারত সরকার ১ লক্ষ ৭০ হাজার ডোজ ভ্যাক্সিনসে দেশের সামরিক কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দিয়েছে। কম্বোডিয়া, আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও একই রকমভাবে চীনের আগেই ভ্যাক্সিন পাঠানোর তাড়ায় ভারতীয় ভ্যাক্সিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়ের সাথে আপস করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে চীনও মার্কিন, ব্রিটেন জাপান, রাশিয়া কিংবা ভারতের মতো ভ্যাক্সিনকে বাণিজ্যযুদ্ধের হাতিয়ার করছে। সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে করোনা মহামারি রোখার থেকেও এখন ভ্যাক্সিনবেশি কার্যকরী বাজার সংকটের মোকাবিলায়। তাই চীন তড়িঘড়ি আমেরিকার আগেই আরব দেশগুলিতে বিপুল ভ্যাক্সিন পাঠিয়ে দিয়েছে। ইউরোপের বহু দেশেও ঢুকে গেছে চীনা ভ্যাক্সিন। অন্যদিকে রাশিয়া তার স্পুটনিক ভ্যাক্সিনের সাহায্যে একইভাবে বাণিজ্য যুদ্ধ চালাতে চাইছে। সকলের আশা ভ্যাক্সিনদেওয়ার নামে তারা অন্যান্য পণ্যের বাজারটাও খুলতে পারবে। চরম সংকটে পড়া পুঁজিবাদী বাজারে টিকে থাকার জন্য সাম্রাজবাদীরা পরস্পর কামড়াকামড়ি করছে। কোথাও কোথাও তারা জোট বাঁধছে, কোথাও তা ভেঙে নতুন সমীকরণ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আবার নিজ নিজ দেশের পুঁজির স্বার্থে এই সাম্রাজবাদী জোটগুলির নানা অঙ্ক কাজ করছে। যে কারণে ভারত সরকারকে নিজ দেশে উৎপাদিত ভ্যাক্সিনে ঘাটতি সৃষ্টি করেও রাশিয়া এবং আমেরিকার ভ্যাক্সিনকে কিছুটা দেশের বাজার ছাড়তে হচ্ছে। ভ্যাক্সিন ঘাটতিতে সরকার যেন কত চিন্তিত, এমন একটা ভাব দেখিয়ে অপরীক্ষিত অবস্থাতেই এই সমস্ত ভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে ভারত। আসল কারণ হল এই ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় না দিলে অন্য বাজারে রাশিয়া কিংবা মার্কিন পুঁজির ছাড় ভারতীয় পুঁজিপতিরা পাবে না। নিজের দেশের মানুষের স্বার্থকে বলি দিয়ে একচেটিয়া মালিকদের স্বার্থে ভারত সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ ভ্যাক্সিনবিদেশে পাঠাচ্ছে একই ভাবে বিদেশি অপরীক্ষিত ভ্যাক্সিনকে দেশের মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে।
কানাডার মতো উন্নত দেশেও ভারত সরকার ভ্যাক্সিনের উপহার পাঠিয়েছে। কারণ, আগামী দিনে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পেতে হলে কানাডা সহ কিছু উন্নত দেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির লবির সাহায্য দরকার। ২০২৩ সালে ভারতে যে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে তার জন্যও সমর্থন আদায় করে রাখা দরকার। এই দরকারগুলি কার? জনস্বার্থের সাথে এর আদৌ কোনও সম্পর্কই নেই। আম্বানি, আদানি, টাটা ইত্যাদি একচেটিয়া মালিকদের প্রয়োজন ভারতীয় সামরিক তাকত। যার জোরে ওরা ঢুকতে পারবে বিশ্ব বাজারে। এতে দেশের মানুষের লাভ দূরে থাক, একচেটিয়া পুঁজিপতিদের মুনাফা নিশ্চিত করতে জনসাধারণের উপর আসবে আরও আক্রমণ। শ্রমিকের মজুরি কমানো, শ্রম সময় বাড়ানো, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের অধিকার খর্ব করা সহ সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নেমে আসবে শাসকের আগ্রাসন।
ভারতীয় একচেটিয়া পুঁজিমালিকদের স্বার্থে মার্কিন দোসর হিসাবে কাজ করতে গিয়ে ভারত সরকার যে তীব্র বাণিজ্য যুদ্ধকে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে আহ্বান করে আনছে তার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি আগামী দিনে আরও পূর্ণাঙ্গ সামরিক যুদ্ধ, প্রাণহানি, যা ডেকে আনে সাধারণ মানুষের জীবনের চরম সর্বনাশ। ভ্যাক্সিনকূটনীতি সহ কোয়াডের সামগ্রিক পদক্ষেপ তাই দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে না, ভারতকে এশিয়া-আফ্রিকার বড় অংশের মানুষের মধ্যে একটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে উপস্থিত করছে। যে শক্তিগুলিকে এতকাল এশিয়ার মানুষ শোষক-উৎপীড়ক হিসাবে ঘৃণা করেছে, তাদেরই অন্যতম প্রতিভূ হবে ভারত?