মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা সহ নানা সরকারি কাজ করানো হয় আশাকর্মীদের দিয়ে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা তাদের কোনও ছুটি নেই। গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি নির্ভর করে রয়েছে তাঁদের উপর, অথচ তাঁদের কাজের কোনও স্বীকৃতি নেই। তাঁরা ভাতা পান নামমাত্র। কেন্দ্র-রাজ্য কোনও সরকারেরই তাদের নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তাঁদের সীমাহীন বঞ্চনা নিরসন এবং সরকারি কর্মী হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে আশাকর্মীরা স্বাস্থ্যভবনে এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বারবার ডেপুটেশন দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি।
২৯ জুলাই এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের নেতৃত্বে জেলায় জেলায় ৪৫-৫০ হাজার আশাকর্মী আন্দোলনে নেমেছেন। এর ধারাবাহিকতায় ৩ আগস্ট আশাকর্মীরা রাজ্যজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত ও অভাবনীয় কর্মবিরতি পালন করেছেন। আন্দোলনের চাপে স্বাস্থ্যভবন আশাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হওয়ায় ৪ আগস্ট কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। কর্তৃপক্ষ বৈঠকে আগামী মাস থেকেই ইন্সেন্টিভ-এর টাকা ভাগে ভাগে পাঠানো বন্ধ করা এবং সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়াও মোবাইল ফোন দেওয়া, রিচার্জের জন্য মাসিক ২০০ টাকা দেওয়া এবং অন্যান্য দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।