গণদাবীর গত দু’টি সংখ্যায় দর্শন সম্বন্ধে আমরা যে আলোচনা করেছি তাতে আমরা সাধারণভাবে দর্শনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যে সমস্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, সেগুলি পর পর সাজালে দাঁড়ায়, প্রথমত, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ বিশেষ সত্যগুলির অন্তর্নিহিত সাধারণ যোগসূত্রটি খুঁজে বের করে তার ভিতর থেকে জগৎ সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে যে সাধারণ ধারণা গড়ে ওঠে, সেই সামগ্রিক ধারণা, সেই সাধারণ সত্যের উপলিব্ধই হচ্ছে দর্শন।
দ্বিতীয়ত, বিজ্ঞানের প্রত্যেকটি শাখার বিশেষ বিশেষ নিয়ম (ল) বা তত্ত্বগুলির (থিওরি) অন্তর্নিহিত সাধারণ সিদ্ধান্তগুলি থেকে আমরা বস্তুজগৎ সম্পর্কে যে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারি তা হচ্ছে, (১) মানুষের সমস্ত প্রকৃত জ্ঞান বা সত্যের ধারণাই বস্তু সম্পর্কিত, (২) জগৎ সম্পর্কে, সমাজ সম্পর্কে, মানুষ সম্পর্কে সঠিক সামগ্রিক ধারণা গড়ে তুলতে হলে মানুষের নিজের মনগড়া ধারণার উপর নির্ভর না করে আমাদের নির্ভর করতে হবে বিজ্ঞানের পরীক্ষিত সত্যের উপর। কারণ মানুষের মনের উপর বস্তুজগৎ সম্পর্কে বিজ্ঞানের পরীক্ষিত সত্যলব্ধ ধারণার প্রতিফলনই হচ্ছে বস্তুজগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, সত্য জ্ঞান।
উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলিকে মেনে নেওয়ার পর আমরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিশেষ সত্যগুলিকে বিশ্লেষণ করে নিচের সাধারণ সত্যগুলি পেলামঃ
প্রথমত, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কিছু, অর্থাৎ জড়, জীব, মানুষ, মানুষের সমাজ, মানুষের মন তথা চিন্তাজগৎ– এ সব কিছুরই আবির্ভাব বস্তু থেকে। এ বস্তু কোনও বিশেষ বস্তু নয়, নির্বিশেষ বস্তু।
দ্বিতীয়ত, কোনও বস্তুই জগতের অপারপর বস্তু থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, সমস্ত বস্তুই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল।
তৃতীয়ত, সমস্ত বস্তুই পরিবর্তনশীল, সনাতন বা শাশ্বত বা চিরস্থায়ী বলে কিছু নেই। এই শব্দগুলি কেবলমাত্র আপেক্ষিক অর্থেই ব্যবহৃত হতে পারে।
চতুর্থত, সমস্ত বিশেষ বস্তুই তার আভ্যন্তরীণ পরস্পর বিরোধী শক্তির দ্বন্দে্বর মধ্য দিয়ে এবং পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে প্রতিনিয়িত দ্বন্দে্বর মধ্য দিয়ে ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তন কখনও ঘটছে বিলম্বিত লয়ে– যখন সেই বিশেষ বস্তুটির বিশেষ বিশেষ গুণ এবং ধর্ম মোটামুটি বজায় রেখেই পরিবর্তন ঘটে চলেছে। আবার কখনও ঘটছে অতি দ্রুত লয়ে, যখন সেই পুরাতন বস্তুটি তার পুরাতন গুণ এবং ধর্ম বিসর্জন দিয়ে নতুন গুণ এবং ধর্ম সমন্বিত নতুন কোনও একটি বিশেষ বস্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। পরিবর্তনের এই রীতি অনুসরণ করেই আমরা জানতে পারছি যে, একটি বিশেষ বস্তুর বিকাশের পথেই সেই বিশেষ বস্তুর অস্তিত্বকে বিলুপ্ত করতে করতে বস্তু ক্রমাগত বিকশিত হয়ে চলেছে।
উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলি বা সাধারণ সত্যগুলি মানব সমাজের সামনে এসেছে মাত্র একশো-দেড়শো বছর আগে। দর্শন বলতে কেবলমাত্র যদি এই সাধারণ সিদ্ধান্তগুলি থেকে উদ্ভূত জ্ঞানটুকুই বোঝায়, তা হলে ওই একশো-দেড়শো বছরের আগে কি দর্শন বলে কোনও বিষয় ছিল না? যদি না থেকে থাকে তা হলে হঠাৎ একশো-দেড়শো বছর আগেই বা বিশেষ করে এই বিষয়টির জন্ম হলে কোথা থেকে? আর যদি থেকেই থাকে তা হলে সেটা কী?
মানব সভ্যতার প্রথম যুগ থেকেই, যুক্তি-বিজ্ঞানের জয়যাত্রার শুরু থেকেই ‘দর্শন’ ছিল– তবে দর্শনের যে সংজ্ঞা বর্তমান আলোচনার শুরুতে আমরা পেয়েছি, সে অর্থে ছিল না। তা হলে কী অর্থে ছিল?
দর্শনকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিশেষ সত্যগুলির সমন্বয়কারী শাস্ত্র না বলে, যদি বলা হয় ‘বস্তুজগত ও জীবন সম্পর্কে মানুষের সামগ্রিক অভিজ্ঞতার নির্যাস হচ্ছে ‘দর্শন’, তা হলে এই সংজ্ঞার মধ্য দিয়ে আমাদের সমস্ত কথাই বলা হয়ে যায় এবং বলা বাহুল্য, আমাদের প্রথমোক্ত সংজ্ঞাও এই সংজ্ঞার মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণ অভিব্যক্ত হয়। এই সংজ্ঞাটিকে সামনে রেখে মানব সমাজের প্রথম পর্ব থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত পর্বের দর্শন চর্চার ইতিহাসকে পর্যালোচনার সুযোগও আমাদের ঘটে। না হলে বিজ্ঞানের অনগ্রসর সেই যুগের দর্শন চর্চাকে আমাদের বিচার বিশ্লেষণ করতে বিশেষ অসুবিধায় পড়তে হবে।
সভ্যতার আদিপর্বে, আদিম, শ্রেণিহীন, গোষ্ঠীগত সাম্যবাদের যুগে, মানুষ যখন সবে প্রতিকূল প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে, তখনকার দিনের মানুষের চিন্তা কিন্তু সম্পূর্ণরূপে বস্তুকেন্দ্রিক। সেদিন বস্তুজগতকে জানবার প্রচেষ্টায়, প্রকৃতিকে বোঝবার প্রচেষ্টায় তার সঞ্চিত সামগ্রিক অভিজ্ঞতা থেকে আলো, হাওয়া, জল, মাটিকেই চরম সত্য বা অন্তিম বস্তু বলে ধরে নিয়েছে। আজকের ভাববাদী দার্শনিকদের মতো এই দুনিয়াটাকে কেবলমাত্র বাইরের কোনও শক্তির বা কোনও বস্তু নিরপেক্ষ চেতনা বা যুক্তিপদ্ধতির প্রতিফলন হিসেবে দেখেনি। সেদিনকার মানুষের সমস্ত জ্ঞান সমস্ত অভিজ্ঞতাই ছিল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তু সম্পর্কে। তারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় আদিম বন্য বর্বর গোষ্ঠীগুলির বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তু বা শক্তির প্রতি মনোভাব থেকে। আগুন, পাথর, বজ্র, বিদ্যুৎ, বন্যা, ঝড়-জল–এই সব প্রাকৃতিক শক্তি বা ঘটনাগুলিকে মানুষ সন্তুষ্ট রাখতে চাইত তাদের দ্বারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বা তাদের কাছ থেকে উপকার পাওয়ার জন্য। নীল নদকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য মিশরবাসীদের নদীতে কন্যা বিসর্জন কেবলমাত্র মিশর দেশেরই ঘটনা নয়, দুনিয়ার সমস্ত দেশেই অল্পবিস্তর এ ধরনের নজির পাওয়া যায়।
কিন্তু এই বস্তুকেন্দ্রিক, বস্তুনির্ভর, বস্তুসর্বস্ব চিন্তা অব্যাহত গতিতে বিকাশ লাভের সুযোগ পায়নি। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মানব সমাজের ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই বস্তুবাদী চিন্তা বা জ্ঞানের পাশাপাশি আর একটা চিন্তাধারা ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে শুরু করেছে– যে চিন্তাধারায় বস্তুকে আর দুনিয়ার সমস্ত কিছুর উৎস বলে স্বীকার করা হল না। বরং এই জগতটাই যে বাইরের কোনও শক্তি দ্বারা পরিচালিত বা সম্পূর্ণ বস্তুনিরপেক্ষ কোনও স্বয়ম্ভূ চেতনার প্রতিফলন– সেই কথাটাই জোর করে ঘোষণা করা হল। কিন্তু চিন্তাধারার এই দ্বিধাবিভক্তি এল কী করে?
সভ্যতার আদিপর্বে আজকের মতো বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার এত বিকাশ ঘটেনি। বস্তুজগৎ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান তখন অত্যন্ত সীমিত ছিল। আবার এই সীমিত জ্ঞানটুকুও সমাজের সমস্ত মানুষের অধিকারে সমানভাবে ছিল না। সামাজিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সামাজিক চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের স্বল্পতা এবং উৎপাদন ব্যবস্থার অনগ্রসরতা সমাজে যে শ্রেণিবিভেদ এনে দিয়েছিল, তার অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ শোষক শ্রেণি এবং শোষিত শ্রেণির শ্রেণিগত স্বার্থচিন্তা– মানুষের চিন্তাক্ষেত্রে পাশাপাশি এই দুটি বিপরীতধর্মী চিন্তাধারার জন্ম হল। স্বাভাবিকভাবেই শোষক শ্রেণির চিন্তাধারায় শোষণ-শাসনের সুযোগ-সুবিধাকে চিরস্থায়ী করে রাখার জন্য এবং শোষিত শ্রেণির চিন্তাধারায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তির আকাঙক্ষাকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য দুটি পরস্পরবিরোধী দার্শনিক মতেরও জন্ম হল। যেহেতু তখনকার সীমিত জ্ঞানের চর্চাও সীমাবদ্ধ ছিল প্রধানত সমাজের সুবোধাভোগী এবং অভিজাত গোষ্ঠীরই মধ্যে, সেই জন্য লিখিত দর্শনের আনুপূর্বিক ইতিহাসেও তাদেরই শ্রেণিগত স্বার্থচিন্তার প্রতিফলনটাই বেশি। লিখিত দর্শনের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে তাই দেখা যায়– দর্শনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কখনও বলা হয়েছে– দর্শন ধর্মের খাস নফর মাত্র। কখনও দর্শনকে জীবনযাত্রা প্রণালীর পথ নির্দেশক বলে দেখিয়ে, জীবনযাত্রাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে চলতি সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কাঠামো টিকিয়ে রাখার উপযুক্ত নিয়মকানুনের বাঁধা রাস্তায়। বিজ্ঞানের অনগ্রসরতার ফলে বস্তুজগতের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অস্পষ্ট বা ভ্রান্ত ধারণা, প্রধানত সুবিধাভোগী সম্প্রদায়ের মধ্যেই জ্ঞান চর্চার সীমাবদ্ধতা, মুনি-ঋষি, পুরোহিত, ব্রাহ্মণ ও ধর্ম যাজক সম্প্রদায়ের জ্ঞান-চর্চার ক্ষেত্রে আধিপত্য এবং দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবজগতের ব্যাপক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পর্কশূন্যতা ইত্যাদি নানা ঘটনা একসঙ্গে ঘটার ফলে স্বাভাবিকভাবেই জ্ঞানচর্চা বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন নিছক যুক্তিতর্ক এবং অলীক কল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়তে বাধ্য হয়। বিজ্ঞানের অনগ্রসরতার ফলে আজকের মতো সামগ্রিকভাবে দুনিয়াকে জানার উপায় সেদিন ছিল না। অথচ দুনিয়াকে জানবার আকাঙক্ষাটা ছিল পুরো মাত্রায়। এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের বহু বিচিত্র কর্মকাণ্ডের অন্তনির্হিত নিয়মশৃঙ্খলার হদিশ বাতলানোর উপায় বিজ্ঞানের ছিল না। তাই প্রচলিত শ্রেণিবিভক্ত সমাজে সমাজের সমস্ত নিয়মশৃঙ্খলা বিধানের অধিকারী স্বৈরাচারী শাসকের একাধিপত্যই মানুষের মনে প্রতিফলিত হয়েছিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত নিয়মশৃঙ্খলা বিধানের অধিকারী এক অপার্থিব শক্তির একাধিপত্যের ধারণার মধ্যে।
এইভাবে একদিকে দুনিয়াকে জানবার আকাঙক্ষা এবং অন্য দিকে জানবার প্রকৃত উপায় বিজ্ঞানের অনগ্রসরতা– এই দুয়ে মিলে দর্শনকে ঠেলে নিয়ে গেল প্রচলিত শাসন-শোষণ ব্যবস্থার স্বার্থে ব্যবহারের জন্যে ধর্মের তল্পি বওয়ার কাজে। অর্থাৎ নিছক যুক্তি-বিজ্ঞানের চর্চা তার আপন গতিতে বিকাশ লাভ করার পথে বিজ্ঞানকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল এবং দার্শনিকেরা সমসাময়িক সমাজের মধ্যে তাঁদের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী জগৎ সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে এক একজন এক এক রকম মতামত দিতে লাগলেন। তাঁদের কাছে বাস্তব ঘটনা বিচার বিশ্লেষণের চাইতে বড় হয়ে দাঁড়ালো তাদের নিজস্ব চিন্তার ভিত্তিতে মানবজাতির কর্তব্য-কর্ম নির্ধারণ করা, সামাজিক ভাল-মন্দের মাত্রা নির্ধারণ করা। আর তাই করতে গিয়ে এই দর্শন স্বাভাবিকভাবেই সুবিধাভোগী শ্রেণির স্বার্থে ব্যবহৃত হল সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা, অন্ধতা, ভয়-ভীতি এবং আশা আকাঙক্ষার পরিপূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে। অসহায় সাধারণ মানুষের দঃখ দুর্দশা দারিদ্র অভাবের সামনে এই বস্তুজগতকে মায়া বলে বুঝিয়ে এই জগতের বাইরে সত্যিকার জগৎ– স্বর্গরাজ্যের ছবি এঁকে তুলে ধরা হল। মর মানুষকে অমরত্ব দেওয়ার আকাঙক্ষা থেকে সৃষ্টি হল এই বস্তুজগতের বাইরে ভগবানের এক আলাদা রাজ্যের। এ জন্মের দুঃখ-কষ্টকে মেনে নেওয়ার জন্য প্রচলিত সামাজিক বৈষম্য অত্যাচার শোষণকে মেনে নেওয়ার জন্য গড়ে উঠল কর্মফলবাদ, গড়ে উঠল পুনর্জন্মবাদ। এ জন্মে যারা দুঃখভোগ করবে মৃত্যুর পরে তাদের সিট রিজার্ভ করে রাখা হল অক্ষয় স্বর্গে। আর এ জন্মে যারা সমস্ত সুখ-সম্পদ-ঐশ্বর্য ভোগ করবে তাদের জন্য মৃত্যুর পর বরাদ্দ করা হল নরকে বাসস্থান।
অবশ্য সমস্ত দর্শনেই স্বর্গ-নরকের ধর্মীয় ব্যাখ্যা মেনে নেওয়া হয় না। কিন্তু চার্বাক বা প্লেটো থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বহু দার্শনিকই স্বর্গ-নরক না মেনেও মোটামুটি একই জায়গায় গিয়ে পৌঁছলেন। এই ভিন্ন ভিন্ন মতামত পোষণ করার মাধ্যমে ‘ভাববাদী’ দর্শনই এক এক জনের হাতে এক এক রূপে প্রকাশপেয়েছে। (চলবে)
(এই নিবন্ধটি ১৯৬২ সালে গণদাবী ১৫ বর্ষ ৬ সংখ্যা থেকে ৯ সংখ্যা পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধটির গুরুত্ব বিবেচনা করে পুনঃপ্রকাশ করা হল। এ বার তৃতীয় অংশ)