সম্প্রতি ডিএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীরাও একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পাওয়ার অধিকারী। এ কথা সত্যি, ভারতের বহু রাজ্যের শ্রমিক-কর্মচারীরা সময়মতো কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান না। অতীতে সিপিএম-ফ্রন্ট সরকারের আমলেও রাজ্যের কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কর্মচারীদের ডিএ বঞ্চনার প্রশ্নে অতীতের সমস্ত নজির ম্লান করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা এক নতুন যুক্তির অবতারণা করে বলছে, ডিএ কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকারই নয়। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির সাপেক্ষে ডিএ দিতে তারা বাধ্য নয়। তারা মনে করলে কখনও সখনও ডিএ দিতে পারে, আবার না দিতেও পারে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের মতে, বিষয়টি যেন তাদের মর্জির উপরেই নির্ভরশীল। দেখা যাক, এই বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত, নাকি কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার চরম সুবিধাবাদী একটি অপকৌশল?
কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরাও দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একসময় যে অধিকারগুলি অর্জন করেছিল, তার় মধ্যে অন্যতম হল, ১৯২৬ সালে ট্রেড ইউনিয়ন আইন প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়ে ইউনিয়ন তৈরি করার অধিকার। পরবর্তীকালে শিল্প বিরোধ আইন, কারখানা আইন, বোনাস আইন, গ্র্যাচুইটি আইন, কন্ট্র্যাক্ট লেবার(রেগুলেশন ও অ্যাবোলিশন) আইন-১৯৭০, ইএসআই আইন, পিএফ আইন সহ বিভিন্ন শ্রম আইন এবং নানা অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা অর্জন করেছিল।
এই আইনগুলি দেশের মালিক শ্রেণি বা কোনও সরকার শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি দয়াপরবশ হয়়ে চালু করেছে, এমন নয়। এগুলি চালু করার় মূলে কাজ করেছে মূলত দুটি ঐতিহাসিক কারণ। প্রথমত, প্রতিটি আইন প্রণয়নের পিছনে রয়েছে এ দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের লাগাতার সংগ্রামের ইতিহাস। দ্বিতীয়ত, দেখা যায়, অধিকাংশ শ্রম আইনই প্রবর্তিত হয়েছে ১৯২৩ থেকে ষাটের দশকের মধ্যে। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় মহান লেনিনের নেতৃত্বে শ্রমিক বিপ্লব সফল হওয়ার পর তার প্রভাবে ভারতেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের জোয়ার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতে ভীতসন্ত্রস্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং পরে দেশীয় পুঁজিপতিরা রুশ বিপ্লবের প্রভাবে উদ্বুদ্ধ এ দেশের শ্রমিক শ্রেণির আন্দোলনকে স্তিমিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে তাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দিতে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়। পাশাপাশি বিচার ও সালিশি ব্যবস্থা প্রণয়ন করে আত্মপক্ষ সমর্থনের কিছুটা সুযোগ করে দিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের কানুনি ব্যবস্থার বেড়াজালে আটকে রাখার চেষ্টা করে তারা। এই প্রেক্ষাপটেই আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা কোনও রকমে বেঁচে থাকার মতো কিছু অধিকার অর্জন করেছিল।
ডিএ দয়ার দান নয়
ডিএ বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রথমে বুঝতে হবে, ডিএ কী। এক কথায় ডিএ হল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রকৃত আয়ের ক্ষতিপূরণ। ধরা যাক, কোনও একজন শ্রমিক বা কর্মচারীর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মূল্যসূচক বা বাজারদরের ভিত্তিতে মাসিক বেতন ১০০০ টাকা। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেখা গেল, ওই টাকায় ছ’মাস আগে যে পরিমাণ সামগ্রী কেনা যেত, ছ’মাস পরে তা সম্ভব হচ্ছে না। ছ’মাস পরে ধরা যাক ১০০০ টাকার ক্ষয় হয়েছে ৪০ টাকা। এই ৪০ টাকাই শ্রমিক-কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নামে পাওয়ার অধিকারী। যদিও এই ৪০ টাকা হিসাবের মধ্যে কারচুপি আছে এবং মূল বেতনের উপর ক্ষতিপূরণের যে ধারা চলে আসেছ তা যথাযথ নয়। কারণ ক্ষয় শুধু মূল বেতনের হয় না, প্রদেয় ডিএ-রও ক্ষয় হয়। সে জন্য মূল বেতন ও ডিএ-র যোগফলের উপর প্রকৃত আয়ের ক্ষতিপূরণের হিসেব হওয়া উচিত। কিন্তু এআইইউটিইউসি ছাড়া ভারতের অন্য কোনও ট্রেড ইউনিয়ন এই পদ্ধতিতে ডিএ দেওয়ার দাবি আজও তোলেনি।
ভারতের শ্রমিক-কর্মচারীরা ডিএ পেয়ে আসছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারতের শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রকৃত আয়ের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডিএ দেওয়া শুরু হয়। অর্থাৎ প্রায় ৮০ বছর ধরে পেয়ে আসা অধিকারকে তৃণমূল সরকার আইনসঙ্গত নয় বলে কর্মচারীদের বঞ্চিত করার ছুতো খুঁজছে। তা হলে এতদিন ধরে কর্মচারীরা কি বেআইনি অধিকার ভোগ করে আসছেন? রাজ্য সরকারের এই বক্তব্যের কোনও সারবত্তা আছে কি?
অর্জিত সমস্ত অধিকারের উপর আইনি সিলমোহর কখনও ছিল না, আজও নেই
ইতিহাস বলে, প্রতিটি অধিকারেরই জন্ম হয় একটি বাস্তব পরিস্থিতির গর্ভে। পরিস্থিতির পরিবর্তনের সাথে তার পরিবর্তনও ঘটে। ভারতের শ্রমিক-কর্মচারীরা মজুরি সংক্রান্ত যে অধিকার বর্তমানে ভোগ করছেন, তার মধ্যে একমাত্র ‘মিনিমাম ওয়েজ’ বা নূ্যনতম মজুরি আইনি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৪৮ সালে তৈরি এই আইনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সমাজের বিভিন্ন অংশে কর্মরত দুর্বল শ্রমজীবী মানুষের নূ্যনতম মজুরি নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তা হলে অন্যান্য অংশের শ্রমিক-কর্মচারীরা যে সমস্ত বেতন পেয়ে থাকেন, তা পে কমিশনের মধ্য দিয়েই হোক বা চুক্তির মাধ্যমেই হোক, সেগুলি কি বেআইনি? পে কমিশন গঠন সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। সরকার মনে করে, মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে ১০ বছর পরে একটি নির্দিষ্ট বেতনকাঠামোর আর কোনও কার্যকারিতা থাকে না, নতুন বেতনকাঠামো তৈরির প্রয়োজন হয়। সেই প্রয়োজন থেকেই নতুন পে কমিশন গঠিত হয়। আইনে লেখা না থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই পদ্ধতিতে কর্মচারীদের জন্য পে কমিশন গঠন করে তা হলে কি বেআইনি কাজ করেছে? শুধু তাই নয়, ১৯৪৮ সালে তৈরি আইন অনুযায়ী নূ্যনতম মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ডিএ যুক্ত। অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকারও নথিভুক্ত শিল্পগুলির শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর যে মজুরি নির্ধারণ করে, সে ক্ষেত্রে ডিএ যুক্ত থাকে কেন? কারণ, এটা বাধ্যতামূলক। সুতরাং প্রতিষ্ঠিত রীতি, আইন এবং বেতন সংক্রান্ত ধারণার কোনও মাপকাঠিতেই ডিএ বাদ দিয়ে কখনওই মজুরি নির্ধারণ হতে পারে না। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির এই যুগে ডিএ-র চাহিদা বরং আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। এই দাবি সেদিনই অপ্রাসঙ্গিক হবে, যেদিন সরকার ঘোষণা করতে পারবে, ‘কাল থেকে কোনও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে না’। যেহেতু পুঁজিবাদী আর্থ-সামাজিক কাঠামোয় তা কখনই সম্ভব নয়, সে জন্য ডিএ-র দাবি বর্তমানে ন্যায়সঙ্গত, মানবিক এবং অবশ্যই আইনসঙ্গত।
ডিএ সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পে কমিশনগুলি কী বলেছে
এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সাতটি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ছ’টি বেতন কমিশনের সুপারিশ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি কমিশনই কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দেওয়া সরকারের ‘ইচ্ছাধীন’ এমন বক্তব্য কোনও কমিশনই বলেনি। রাজ্য সরকার গঠিত পঞ্চম বেতন কমিশন বরং দ্রুত বকেয়া মিটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ধরনে বছরে দু’বার ডিএ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছিল সরকারকে।
ডিএ প্রান্তিক সুবিধা নয়, মূল বেতনের অপরিহার্য অঙ্গ
ডিএ নানা ধরনের অ্যালাউন্সের মতো প্রান্তিক সুবিধা (ফ্রিঞ্জ বেনিফিট) নয়। প্রান্তিক সুবিধা একজন কর্মচারী কোনও বিশেষ কাজে, বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানে, বিশেষ সময়ের জন্য পেয়ে থাকেন। কিন্তু ডিএ হল মূল বেতনের অপরিহার্য অঙ্গ। সে জন্য বেতন সংশোধনের সময় মূল বেতনের সঙ্গে ডিএ-র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ যুক্ত করে নতুন বেতনকাঠামো তৈরি হয়। পাশাপাশি মূল বেতনের অপরিহার্য অঙ্গ হওয়ার জন্যই একজন কর্মচারীর পেনশন, গ্র্যাচুইটি, লিভ এনক্যাশমেন্ট ইত্যাদি অবসরকালীন প্রাপ্য সুবিধাগুলি ডিএ-র সাথে যুক্ত। ফলে, ডিএ-র দাবিকে আইনসঙ্গত নয় বলে অস্বীকার করা – ‘বেতন কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার নয়’– এই ঘোষণারই নামান্তর। এই কাজটিই আজ তৃণমূল সরকার প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
আর্থিক সঙ্কটের ধুয়ো তুলে ডিএ আটকানো যায় না
রাজ্য সরকার ডিএ না দেওয়ার পিছনে প্রায়ই আর্থিক সঙ্কটের অজুহাত তোলে। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের অজুহাতে ডিএ আটকানো যায় না। সরকার নিজের প্রয়োজনে নিয়োগ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের শ্রমশক্তিকে ব্যবহার করছে। বিনিময়ে কর্মীদের সে বেতন দিতে বাধ্য। ডিএ সেই বেতনের অপরিহার্য অঙ্গ। তার জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব কোথা থেকে, কী ভাবে আদায় হবে, কী করেই বা তা বাড়ানো যায়, সে সম্পর্কে মতামত দেওয়ার কোনও অধিকার সরকার কর্মচারীদের দেয়নি। ফলে আর্থিক সঙ্কটের ধুয়ো তুলে ডিএ আটকানোর কোনও অধিকারও সরকারের নেই। যদি থাকত, তা হলে একই যুক্তিতে সরকার এমনও বলতে পারে যে তার বেতন দেওয়ার ক্ষমতা নেই!
পঞ্চদশ শ্রম সম্মেলনের সুপারিশে নির্ধারিত প্রয়োজনভিত্তিক নূ্যনতম মজুরির পরিমাণ পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। রায়দান প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগকর্তার বেতন প্রদানের ক্ষমতাকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি বরং মন্তব্য করেছে, যে নিয়োগকর্তা উপরিউক্ত বেতন দিতে পারবে না তার কর্মী নিয়োগের কোনও অধিকার নেই। সুতরাং আর্থিক সঙ্কটের অজুহাতে ডিএ আটকানোর আইনসঙ্গত বা ন্যায়সঙ্গত কোনও অধিকারই সরকার বা কোনও নিয়োগকর্তার নেই।
একটার পর একটা অর্জিত অধিকার কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি
ডিএ সম্পর্কে তৃণমূল সরকারের বক্তব্যকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখলে ভুল হবে। একসময় যে অধিকারগুলি শ্রমিক-কর্মচারীরা কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জন করেছিল, বিশ্বায়নের বর্তমান যুগে সঙ্কটগ্রস্ত পুঁজিপতি শ্রেণি বাঁচার তাগিদে সেগুলো একটার পর একটা কেড়ে নেওয়ার জন্য উদ্যত হয়েছে। সেই কাজ তারা করিয়ে নিচ্ছে কেন্দ্রের ও রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তাদের রাজনৈতিক ম্যানেজার সরকারগুলিকে দিয়ে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার মালিক শ্রেণির স্বার্থে দেশের প্রধান শ্রম আইনগুলিকে সংশোধন করে চূড়ান্ত শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী চারটি শ্রমকোডে পরিণত করেছে। পেনশনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ইএসআই, পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অধিকারের উপর আক্রমণের খাঁড়া নেমে এসেছে। আট ঘন্টার কাজের অধিকার কার্যত ধুলিসাৎ হয়েছে। অথচ এগুলি সবই ছিল আইনসঙ্গত অধিকার। এইভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রাপ্য অর্জিত অধিকারগুলি কেড়ে নেওয়ার যে মরিয়া প্রয়াস শুরু হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে ডিএ-র উপর আঘাত। এই আক্রমণের পিছনে রয়েছে পুঁজিপতি শ্রেণির মদত। কারণ, সরকার যদি ডিএ দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে তা হলে বেসরকারি মালিকদেরও ডিএ দিতে হবে না। চরম সঙ্কটগ্রস্ত পুঁজিপতি শ্রেণির কাছে এই মুহূর্তে এর চাইতে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? দুঃখের হলেও সত্য, শ্রমিক-কর্মচারীদের চরম সর্বনাশ করে পুঁজিপতিদের আরও আস্থাভাজন হওয়ার ‘ঐতিহাসিক’ দায়িত্ব আজ তৃণমূল সরকার গ্রহণ করেছে।
ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলনই বর্তমান পরিস্থিতির দাবি
ডিএ-র অধিকারের উপর আক্রমণকে যে কোনও মূল্যে প্রতিহত করতে না পারলে আগামী দিনে শ্রমিক-কর্মচারীদের চরম মূল্য দিতে হবে। শুধু আইনি লড়াই এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারবে না। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ ধারাবাহিক আন্দোলনই বর্তমান পরিস্থিতির দাবি। শ্রমিক আন্দোলনের এক সময়ের পীঠস্থান পশ্চিমবাংলার শ্রমিক-কর্মচারীরা মূল বেতনের অপরিহার্য অঙ্গ ডিএ-র উপর এই আঘাতকে যে কোনও মূল্যে প্রতিহত করবেনই।