ডাক্তারি ভর্তিতে স্বজনপোষণ ও ব্যাপক দুর্নীতি তীব্র প্রতিবাদ এ আই ডি এস ও–র

মেডিকেল ও ডেন্টাল কোর্সে ভর্তিতে স্বজনপোষণ ও ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ১ জুলাই রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিভাবক ও নিট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও৷ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জুনের কালা সার্কুলার অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে ভাইস চ্যান্সেলারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি ডাঃ মৃদুল সরকার বলেন, ‘রাজ্যে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে৷ তা সত্ত্বেও ২৭ জুন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত অনৈতিকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)–র কাছে অন্য রাজ্যের ক্যান্ডিডেটদের এই রাজ্যের ৮৫ শতাংশ রাজ্য কোটাতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়৷ এ রাজ্যের ক্যান্ডিডেটদের স্বার্থে কুম্ভিরাশ্রু বর্ষণকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তারাই আজ ম্যানেজমেন্ট কোটার ক্যান্ডিডেটদের অত্যন্ত বেআইনিভাবে রাজ্য কোটাতে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যগ্র হয়ে পড়েছেন!

কিন্তু ২৮ জুন এনটিএ সাফ জানিয়ে দেয় যে ভিন রাজ্যের ক্যান্ডিডেটদের স্টেট অফ এলিজিবিলিটি পরিবর্তন করার কোনও এক্তিয়ার তাদের নেই৷ এটা সম্পূর্ণ রাজ্যের ব্যাপার৷ তাঁরা আরও বলেন যে, রাজ্যের অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্কের ভিত্তিতে স্টেট মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা উচিত৷

বাস্তবে দুর্নীতি রোখার জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বেই এনটিএ নির্দেশিত স্টেট মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা উচিত ছিল৷ কিন্তু তা না করে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য দফতর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে বিসর্জন দিয়েছে৷ উপাচার্য ডাঃ রাজেন পাণ্ডে মানতে বাধ্য হয়েছেন যে বি–ডমিসাইল নিয়ে দুর্নীতি রুখতে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য ভবন ব্যর্থ হয়েছে৷’

তিনি বলেন, তাঁদের উচিত ছিল আগে থেকে স্টেট মেরিট লিস্ট প্রকাশ করে তার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং পরিচালনা করা৷ অথচ কার্যক্ষেত্রে সেটা বাস্তবায়িত না করার ঘটনা, এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত দুর্নীতি ও স্বজনপোষণকে অত্যন্ত নগ্ণভাবে সামনে এনে দিয়েছে৷ রাজ্যের ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের কাছে এর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়৷

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ৪৯ সংখ্যা)