টানা ২ মাস স্কুল বন্ধের নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ৭ মে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়, পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর নিকটও একই দাবি করা হয়৷ এক প্রেস বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, সরকার নির্বাচনের মুখে সস্তা জনপ্রিয়তার লক্ষ্যে এই ঘোষণা করেছে৷ এর সঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই৷ তিনি অবিলম্বে এই নির্দেশিকা বাতিল করা এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল চালু সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানান৷
অল ইন্ডিয়া ডিএসও–র পক্ষ থেকে সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি অভিজিৎ মুখার্জীর নেতৃত্বে জেলা শিক্ষা আধিকারিকের উদ্দেশে ১০ মে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে বলা হয়, বেশিরভাগ সরকারি স্কুল কিছুদিন আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় বন্ধ ছিল, তারপর বিভিন্ন দফায় ভোটের জন্যও বহু স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ৷ এর মধ্যেই সদ্য স্কুলগুলোতে ইউনিট টেস্ট শেষ হয়েছে৷ পরবর্তী ইউনিট টেস্টের আগে অযৌক্তিকভাবে এতদিন স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষক শিক্ষিকারা দায়সারা ভাবে সিলেবাস শেষ করতে বাধ্য হবেন৷ শিক্ষার্থীদের কাছে যথার্থ শিক্ষা পৌঁছবে না এবং সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার অবনমন ঘটবে৷ দীর্ঘ এই ছুটির সিদ্ধান্ত সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে গুরুত্বহীন করে বেসরকারিকরণের প্রয়াস ছাডা আর কিছু নয়৷ আমরা শিক্ষাব্যবস্থার উপর এই পরিকল্পিত আক্রমণের তীব্র বিরোধিতা করছি ও অবিলম্বে এই ফরমান প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি৷