কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির সম্পদ প্রতি বছর উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের মধ্যে ধনীতন রাজনৈতিক দল বিজেপি।
এডিআর-এর এই রিপোর্ট বলছে, ২০২০-‘২১-এর তুলনায় ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-‘২২-এ বিজেপির সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৪ কোটি টাকায়। জানা যাচ্ছে, দেশের সব ক’টি জাতীয় রাজনৈতিক দলের মোট সম্পদের ৬৮ শতাংশই রয়েছে বিজেপির দখলে।
এই একই সময়ে, অর্থাৎ গত এক বছরে ১১০ কোটি টাকা বেড়ে কংগ্রেসের সম্পদ পৌঁছেছে ৮০৫ কোটি টাকায়। ২০২১-‘২২-এ সিপিআই(এম)-এর দখলে রয়েছে ৭৩৫ কোটি টাকার সম্পদ। এই সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকায়।
দেশের সব ক’টি জাতীয় রাজনৈতিক দলের মোট সম্পদ বৃদ্ধির একটি হিসাবও পাওয়া যাচ্ছে এডিআর-এর রিপোর্টে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪-‘০৫-এর তুলনায় ২০২১-‘২২-এ দলগুলির মোট সম্পদের বৃদ্ধি হয়েছে ১৯৪৭ শতাংশ। ২০০৪-‘০৫-এ মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৩১.৩৩ কোটি, যা ২০২১-‘২২-এ পরিণত হয়েছে ৮ হাজার ৮২৯ কোটিতে।
এই সমস্ত হিসাবের সূত্র হিসাবে এডিআর নির্বাচন কমিশন ও আয়কর দফতরে দাখিল করা দলগুলির অডিট করা হিসাবপত্রের কথা উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ এই বিপুল সম্পদের সবটাই বৈধ ও সরকারি হিসাব। ভোট রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা এই রাজনৈতিক দলগুলির, এর বাইরেও যে আরও বহু হিসাব-বহির্ভূত সম্পদ আছে, তা নিয়ে আজ আর কারওর সন্দেহ থাকার কথা নয়। এই টাকার উৎস কী? বৃহৎ পুঁজির মালিক ধনকুবেররা টাকা না ঢাললে এত বিপুল সম্পদ অর্জন যে সম্ভব নয়, তা বলাই বাহুল্য। জনসেবার নামে এই সমস্ত দলগুলি ক্ষমতায় বসে এইসব পুঁজিমালিকদের মুনাফার স্বার্থে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষকে শোষণের নিত্যনতুন কলাকৌশল প্রয়োগ করে। তার বিনিময়েই তাদের মিলেছে এই বিপুল সম্পদের মালিকানা।