বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সম্প্রতি গ্রাহকদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে বিদ্যুতের ফিক্সড চার্জ বৃদ্ধি করেছে। তাতে গৃহস্থ গ্রাহকরা যেমন চাপে পড়েছেন, একই সাথে ছোট ও মাঝারি শিল্প, ধানকল, চাষিদের ব্যবহৃত শ্যালো পাম্পের ইঞ্জিন চালানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বহু গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর সাথে যুক্ত হয়েছে গ্রাহকদের লুঠ করার যন্ত্র প্রিপেড স্মার্ট মিটার লাগানোর ষড়যন্ত্র। তা রুখতে রাজ্য জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন গড়ে তুলছে অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)। এর জন্য বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম ভিত্তিক ‘গ্রাহক প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তুলতে ও গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রাজ্য জুড়ে নানা জায়গায় গ্রাহকদের কর্মশালা ও মত বিনিময় সভার আয়োজন করেছে অ্যাবেকা। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস সহ অন্যান্য রাজ্য ও জেলা নেতৃবৃন্দ এই সভাগুলি পরিচালনা করেন।
৯ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণার লক্ষ্মীকান্তপুরে সমিতির ডায়মন্ডহারবার মহকুমা প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে কর্মশালা হয় ও সমিতির ডায়মন্ডহারবার মহকুমাকমিটি গঠিত হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে ৮ নভেম্বর মেছেদা বিদ্যাসাগর হলে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কর্মশালা হয়।
১৪ নভেম্বর নদীয়ার বারুইপাড়ায় আঞ্চলিক গ্রাহক কনভেনশনে সংগঠনের আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হয়।
১৬ নভেম্বর হাওড়ার উলুবেড়িয়া এসডিও অফিসের সামনে অ্যাবেকার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখান। এক প্রতিনিধি দল এসডিও-র কাছে স্মারকলিপি দেয়।
১৭ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণায় অ্যাবেকার রায়দিঘি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার কমিটির ডাকে রায়দিঘির কাস্টমার কেয়ার অফিসে এবং স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এলাকায় বিভিন্ন ট্রান্সফর্মার ভিত্তিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দুই শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।