ছাত্র সংগঠন এ আই ডি এস ও জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র নিন্দা করে গত ৩০ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছে এই নীতি শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ,কেন্দ্রীকরণ, বৃত্তিমুখীকরন ও সাম্প্রদায়িকীকরণের এক ঘৃণ্য অপচেষ্টা৷ শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, শিক্ষনুরাগী মানুষ, ছাত্র সহ রাজ্য সরকারগুলির মতামতও অগ্রাহ্য করে এই নীতি গৃহীত হয়েছে৷
এই নীতির খসড়া বেরোনোর সময় থেকেই সংগঠন নিরবচ্ছিন্নভাবে বলে এসেছে যে, এই নীতিদেশের সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার উপর সর্বনাশা প্রভাব ফেলবে৷ দেশি–বিদেশি একচেটিয়া মালিকদের নির্মমশোষণ চলবে৷
প্রস্তাবিত ৫৩৩৪ বছরের স্কুল শিক্ষার প্যাটার্ন, তিন বছর থেকে ছয় বছরের শিশুদের ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া, প্রথমশ্রেণি থেকে পাস–ফেল চালু নিয়ে অস্বাভাবিক নীরবতা, স্নাতক কোর্স এক বছর বাড়িয়ে ইচ্ছেমতো তা থেকে বেরোনো ও ঢোকার নিয়ম এবং তথাকথিত ‘সার্বিক বহুমাত্রিক শিক্ষা’ বিস্তৃত জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে চরম ক্ষতিকর৷ শিক্ষার দেশিয়করণের আড়ালে অচল ধ্যান– ধারণা, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র দেশপ্রেম ডন্মাদনার মতো দেখা দেবে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রকে শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও জ্ঞানী মানুষদের আওতায় না রেখে হায়ার এডুকেশন কাডন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (এইচইসিআই) একছত্র অধীনতা উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর পুরোপুরি আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টি করবে৷
দুর্ভাগ্যক্রমে নেপ ২০২০ ঘোষণা করা হল ২৯ জুলাই, যেদিন এদেশের নবজাগরণের পথিকৃৎ তথা বৈজ্ঞানিক, ধর্ম নিরপেক্ষ, আধুনিক শিক্ষার প্রবক্তা মহান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস৷
এআইডিএসও প্রত্যেক ছাত্র–ছাত্রী ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন করেছে, নেপ ২০২০ এর বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলনে গড়ে তুলে বিজ্ঞানভিত্তিক–ধর্ম ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আন্দোলনকে শক্তিশালী করার৷