নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ৯ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির রাজ্য কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। ২৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন তামিলনাড়ূর প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক এ করুণানন্দন। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউজিসি ডিগ্রি স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি পাল্টে ‘ভারত’ করার যে নির্দেশিকা দিয়েছে তিনি তার তীব্র সমালোচনা করেন। মনগড়া ধারণা ও কাল্পনিক ধারণা চাপিয়ে দিয়ে ইতিহাস বিকৃতির তিনি সমালোচনা করেন।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, এই শিক্ষানীতি হল বিশ্বব্যাঙ্ক নির্দেশিত বেসরকারিকরণ ও আরএসএস উদ্ভাবিত হিন্দুত্ববাদী ভাবনা-চিন্তার বিচিত্র মিশেল। তিনি এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের আহ্বান জানান।
পাঠ্যবই রচয়িতা কে ভি রামানা মূর্তি ইতিহাস থেকে মোগল অধ্যায়, ভারত ভাগ, পপুলার মুভমেন্ট ইত্যাদি বাদ দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা এ চন্দ্রশেখর ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স এবং কমিউনিটি সার্ভিস প্রোজেক্ট (সিএসপি) প্রবর্তনের সমালোচনা করেন। সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভি এন আর শেখর কর্ণাটকে জাতীয় শিক্ষানীতি বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য উল্লেখ করে বলেন, কর্ণাটকের নতুন সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি চালু না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। কনভেনশন থেকে অধ্যাপক এস সুব্রহ্মমণিয়ামকে সম্পাদক ও অধ্যাপক কে ভেনুগোপাল রেড্ডিকে সভাপতি করে ৪০ সদস্যের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে।