Breaking News

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ আইন রদের দাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক বিক্ষোভ

বিদ্যুৎ বিল ২০২২-কে আইনে পরিণত করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই আইনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ শিল্পের সার্বিক বেসরকারিকরণ, ট্যারিফ বৃদ্ধি, প্রিপেড স্মার্ট-মিটার বসানো, তাতে টিওডি এবং ডায়নামিক ফেয়ার প্রাইস সিস্টেমে বিল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ। এর বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছিল। দেশ জুড়ে দিনটি বিপুল আগ্রহে পালিত হয়।

দিল্লি- যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের নেতা এবং এআইকেকেএমএস-এর সর্বভারতীয় সভাপতি সত্যবান বক্তব্য রাখেন। তিনি জনবিরোধী বিদ্যুৎ বিল সম্পূর্ণ রদ করার জন্য আন্দোলন শক্তিশালী করার ডাক দেন। বলেন, সারা দেশের কৃষকরা সর্বস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পাশে দাঁড়িয়ে এই আন্দোলনকে সফল করবেন। দিল্লি বিদ্যুৎ গ্রাহক সংগঠনের সম্পাদক ভাস্করানন্দ সমগ্র কর্মসূচি পরিচালনা করেন।

দিল্লি

ত্রিপুরা- একই দিনে ত্রিপুরা ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বনমালীপুরে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সভা হয়। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক সঞ্জয় চৌধুরী।

ত্রিপুরা

কর্ণাটক- কর্ণাটকে বাঙ্গালোরের ফ্রিডম পার্কের বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন অল ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে ভেনুগোপাল। বিক্ষোভ সভা থেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

কর্ণাটক

পশ্চিমবঙ্গ- পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হয়। মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক চণ্ডীচরণ হাজরা, রাজ্য কমিটির সদস্য দীপক পাত্র, শহর সম্পাদক সুশান্ত সাহু, ভবানী চক্রবর্তী। কর্পোরেটপন্থী জনবিরোধী বিদ্যুৎ বিলে অগ্নিসংযোগ করেন সংগঠনের শহর সভাপতি দীপক বসু।