প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর অনুগামীরা গুজরাটকে প্রায়শই ভারতের মধ্যে একটি ‘মডেল’ রাজ্য হিসাবে তুলে ধরেন। কেমন মডেল এই রাজ্য? এটি এখন এমন একটি রাজ্যে পরিণত হয়েছে যেখানে জনগণ আড়াআড়ি সাম্প্রদায়িক বিভাজনে বিভক্ত। এখানে মুসলিমবিদ্বেষী কথা অশ্লীলভাবে উচ্চারিত হয়। ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক গণহত্যার মধ্য দিয়ে আরএসএস-এর হিন্দুত্ববাদের ল্যাবরেটরি হিসাবে রাজ্যটিকে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।
২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধান রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাটে গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। গ্রামীণ পরিবারের নিচের দিকের ৫ শতাংশ পরিবারের খরচ করার ক্ষমতার তুলনায় শীর্ষ ৫ শতাংশের খরচ করার ক্ষমতা অন্তত ৮-১০ গুণ বেশি। সোশাল মিডিয়ায় প্রায়শই সেখানকার ভাঙাচোরা রাস্তা, জীর্ণ সরকারি বাস, আবর্জনায় ঢাকা সড়ক, নর্দমার জলে প্লাবিত রাস্তা, ভাঙা সেতু, অসম্পূর্ণ নির্মাণের পাশাপাশি সোয়াইন ফ্লু-তে অসুস্থ এবং মৃত মানুষের ছবি এবং ভিডিও ক্লিপগুলি ‘বিকাশ’ তথা উন্নয়নের ঢক্কানিনাদকে ব্যঙ্গ করে।
গুজরাটি সমাজে ‘বিকাশ’ হল পুরুষদের একটি সাধারণ নাম। সম্প্রতি নবরাত্রির উৎসবের সময় ‘বিকাশ গন্ডো থায়ো ছে’ (উন্নয়ন পাগল হয়ে গেছে) থিমের উপর নতুন গান প্রকাশিত হয়েছে। এমন ‘বিকাশ’ যে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিও বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে খারাপ অবস্থায় আছে। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার বেকার। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গুজরাটে প্রায় ৫,৯৭৪টি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্য বাণিজ্যিক কর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪.০৫ লক্ষ জিএসটি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (জিএসটিআইএন) বাতিল করা হয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে (স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামীণ ও নগর উন্নয়ন, শ্রম কল্যাণ) রাজ্য জিডিপির শতাংশ হিসাবে ব্যয়ের নিরিখে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক প্রতিবেদনে গুজরাটকে ১৮টি বড় রাজ্যের তালিকায় একেবারে নিচের দিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যয় রাজ্য জিডিপির ০.৭ শতাংশ এবং এটি ভারতের সর্বনিম্ন রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। বেশিরভাগ প্রান্তিক জেলা খরাপ্রবণ এবং কৃষি ও গার্হস্থ্য ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। স্থানীয় জনগণ শহরগুলিতে সর্বনিম্ন গড় দৈনিক মজুরিতে হলেও বছরের অন্তত কয়েকটি মাসের জন্য কর্মসংস্থান চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি এক দশকেরও বেশি সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে থাকাকালীন সেই কর্মসংস্থানের সুযোগও হ্রাস পেয়েছে।
গত পাঁচ বছরে গুজরাটে নারী ও শিশুদের উপর সংগঠিত অপরাধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র এমনই প্রকট যে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের আহমেদাবাদ সফরের সময় শহরের পৌর কর্পোরেশন বিমানবন্দর থেকে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের স্থান পর্যন্ত তাঁর যাত্রাপথের পাশে বস্তির একটি অংশ লুকানোর জন্য চার ফুট উঁচু প্রাচীর তৈরি করেছিল। এই সমস্ত তথ্য গুজরাটের ‘উন্নয়নের মডেলে’-র লম্বা-চওড়া দাবিকে উপহাস করে।
গুজরাটের মানুষের অর্থনৈতিক-সামাজিক জীবনের ক্রমবর্ধমান অবনমন ঢাকতে, আরএসএস-বিজেপি-সংঘ পরিবার হিন্দু সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধতাকে চূড়ান্ত মাত্রায় নিয়ে গেছে। এই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের উদ্দেশ্য ছিল শাসক একচেটিয়া পুঁজিপতি শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করা। এর তীব্রতা এতটাই যে রাজ্যের মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কার্যত জীবনের মূলধারার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ‘গুজরাট ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট’ বা ‘গুজরাট উপদ্রুত এলাকা আইন’-এর অপব্যবহার সাধারণ শ্রমজীবী জনগণের একতায় ফাটল ধরানোর জন্য সাম্প্রদায়িক বিষ কীভাবে উস্কে দেওয়া হচ্ছে তার একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
১৯৮৬ সালে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন রোধ করতে এই আইন প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তীকালে (১৯৯১ সালে) এটিকে ‘গুজরাট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধকরণ এবং ভাড়াটেদের সুরক্ষার বিধান’ হিসাবে পরিবর্তিত করা হয়। এটি সাধারণত ‘গুজরাট বিশৃঙ্খল এলাকা আইনক্স নামে পরিচিত। আইন অনুযায়ী কোনও অশান্ত এলাকায় সম্পত্তির কেনাবেচা, বা হস্তান্তর করতে হলে জেলা কালেক্টরেটের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা হিংসার মাধ্যমে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে দুর্দশার কারণে যাতে কেউ সম্পত্তি বিক্রয় করে চলে না যায় সেটা দেখা। এর উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের ভিত্তিতে পৃথকীকরণ রোধ করা। কিন্তু, বিজেপি শাসনকালে, যে এলাকায় উভয় সম্প্রদায় একসঙ্গে বাস করে, সেখানে একজন হিন্দু বিক্রেতার কাছ থেকে একজন মুসলিম ক্রেতার কাছে সম্পত্তি হস্তান্তর রোধ করতে এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে।
এই ধরনের অপব্যবহারের অনেক উদাহরণ রয়েছে। এ বছর ফেব্রুয়়ারির গোড়ার দিকে, সুরাটের জেলা আধিকারিকরা সালাবতপুরা এলাকায় একটি হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে একটি মুসলিম পরিবারের কেনা বাড়ি সিল করে দেয়। ‘গুজরাট ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট’-এর অপপ্রয়োগের এটি একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। অভিযোগ করা হয়েছে যে, মুসলিম ক্রেতা তাদের কেনা বাড়িতে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা না করায় সেটি ‘গুজরাট ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট’-কে ‘লঙ্ঘন’ করেছে। প্রায় এক বছর পর, একটি সরকারি দল সেখানে পরিদর্শনের জন্য আসে এবং হিন্দু প্রতিবেশীদের আপত্তির কারণ দেখিয়ে উক্ত মুসলিম পরিবারের বাড়িটি সিল করে দেয়। ১৫ সদস্যের যৌথ পরিবারটি বাধ্য হয়ে এখন শহরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। (সূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এর আগে, ২০১৮ সালে, ভদোদরা বা পূর্বতন বরোদার কেশরবাগ সোসাইটির বাসিন্দারা স্রেফ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে এক হিন্দু মালিকের থেকে একজন মুসলিম ক্রেতার কাছে একটি বাংলো স্থানান্তরের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। যদিও সেই ক্ষেত্রে কালেক্টর লেনদেনের অনুমতি দিয়েছিলেন। হাইকোর্টও ২০২৩ সালে ওই বিক্রয় বহাল রাখে। আরেকজন মুসলিম মহিলা ২০১৮ সাল থেকে ‘সিএম আবাস যোজনা’ প্রকল্পের আওতায় তাঁর জন্য বরাদ্দ করা একটি ফ্ল্যাট দখল করতে পারেননি, কারণ ওই ‘সোসাইটি’-র ৪৬২ জন বাসিন্দার মধ্যে ৩৩ জন তাঁর উপস্থিতিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন, কারণ মুসলিম হওয়ায় তিনি নাকি ‘বিপদ ও উপদ্রব’ ঘটাতে পারেন (সূত্রঃ ওই)। এই যে বিদ্বেষ, এটাই বিজেপি কথিত মডেল!
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি দেখায় যে গুজরাটে মুসলমানদের বৃহত্তর সমাজ থেকে পৃথক করার জন্য ‘বিশৃঙ্খল এলাকা আইন’ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেসব অঞ্চলে হিন্দু ও মুসলিমরা পাশাপাশি বাস করে, সেগুলিকে ‘অশান্ত এলাকা’ বলে চিহ্নিত করে ওই আইনটিকে পিছনের দরজা প্রয়োগ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই– হিন্দু এবং মুসলিম জনগণের বসবাসের স্থানকে আলাদা করে দেওয়া।
উল্লেখ্য যে, সুদূর অতীত থেকেই গুজরাট বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয়মূলক ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এখানে হিন্দু, মুসলমান এবং অন্যান্য সম্প্রদায় দীর্ঘকাল ধরে যথাযথ সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের সঙ্গে একসাথে বসবাস করে আসছে। ১৯৪৬ সালের দাঙ্গার সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে গিয়ে বসন্তরাও হেগেস্তে এবং রাজাবলী লাখানি শহিদ হন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দৃশ্যটি, স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরে ক্ষমতাসীন বুর্জোয়া নেতাদের হীন স্বার্থ পূরণের জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করা হয়েছে। নির্মম পুঁজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামকে ভেঙে দিতে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোট-ব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য ধর্মীয় ভিত্তিতে মেরুকরণ সৃষ্টি করা হয়েছে। পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বা তার বিভিন্ন শাখা ক্ষমতা দখলের জন্য নিয়মিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চালিয়ে গিয়েছে। একবার এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হলে, আরএসএস-বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার, যাদের রাজনীতির একমাত্র ভরকেন্দ্র হল হিন্দু সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ, তারা সেই দাঙ্গার সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে কোনও সময় ছাড়েনি। এমনকি কংগ্রেসও আরএসএস-এর পৃষ্ঠপোষকতা পেতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছে। জাতীয় কংগ্রেস ভারতের পুঁজিপতি শ্রেণির স্বার্থরক্ষার দল হওয়ায় স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যে যেমন ধর্ম-বর্ণ-জাতপাত ইত্যাদি মানসিকতার ঊর্ধ্বে এক জাতি এক প্রাণের ধারণা আনতে পারেনি, তেমনি স্বাধীন ভারতেও বুর্জোয়া শ্রেণিশাসন পাকাপোক্ত করতে গিয়ে এ সব দূর করার পরিবর্তে জিইয়ে রাখতে সচেষ্ট থেকেছে। ফলে কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক মানসিকতা থেকে মুক্ত ছিল না। সুতরাং, পুরনো এবং প্রাচীরবেষ্টিত আহমেদাবাদ শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক কাঠামো অক্ষুণ্ন রাখার জন্য মূলত যে ‘বিশৃঙ্খল এলাকা আইন’টি রচনা করা হয়েছিল, কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ের শাসনকালে তার ব্যাপক অপব্যবহার করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিক্রির জন্যই নয়, মেরামতের জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর ফলে রিয়েল এস্টেটের কারবারিদের জন্য হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের বাড়ি ও প্লট খুব সস্তায় দখল করার জন্যও এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের প্রোমোটাররা এর থেকে লাভবান হয়েছে। এখন বিজেপি শিবির এই আইনের এক্তিয়ার প্রাচীরবেষ্টিত শহরের বাইরে প্রসারিত করতে চাইছে। প্রথমত সাম্প্রদায়িক বিভেদ বাড়ানোর জন্য এবং দ্বিতীয়ত ভাড়াটেদের হাতে থাকা বাড়িগুলি রিয়েলটি কারবারিদের কাছে খুব সস্তায় বিক্রি করতে বাধ্য করার জন্য।
‘গুজরাট ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট’ কার্যত রাজ্যের বিজেপি সরকারের হাতে কিছু বিশেষ অঞ্চলে মুসলিম জনগণকে সীমাবদ্ধ করার একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ঠিক যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ে জার্মানি ও ইতালির নাৎসি ও ফ্যাসিস্টরা সংখ্যালঘু ইহুদিদের ঘেটোতে আবদ্ধ রেখেছিল। চিন্তায় চেতনায় বিজেপি এদেরই উত্তরসূরী। এটাই বিজেপির মডেল। এর বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হচ্ছে।
দাবি উঠছে, গুজরাট অশান্ত অঞ্চল আইন বাতিল করা হোক এবং জাতি, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি বা কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হোক। পাশাপাশি, ধর্মীয় আনুগত্য, বর্ণ, ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে শুভ চিন্তাধারার লোকদের আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাসক পুঁজিবাদী শ্রেণি এবং তাদের তল্পিবাহক বিজেপি বা কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলের যে কোনও ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদী বিচ্ছিন্নতার বিরুদ্ধে উচ্চতর সংস্কৃতি ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে একটি শক্তিশালী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪১ সংখ্যা ২৩ – ২৯ মে ২০২৫ এ প্রকাশিত