‘‘আমরা ব্যক্তিগত মালিকানার অবসান চাই শুনে আপনারা আতঙ্কিত। অথচ আপনাদের বর্তমান সমাজে জনসমষ্টির শতকরা নব্বই জনের বেলায় ব্যক্তিগত মালিকানা তো ইতিমধ্যে লোপ করা হয়েছে। অল্প কয়েকজনের ক্ষেত্রে সেটা আছে শুধু ঐ দশ ভাগের নয় ভাগ লোকের হাতে তা নেই বলে। সুতরাং, যে ধরনের মালিকানার অস্তিত্বের অপরিহার্য শর্ত হল সমাজের বিপুল সংখ্যাধিক লোকের কোনও সম্পত্তি না থাকা, সেটা আমরা তুলে দিতে চাই, এটাই আমাদের বিরুদ্ধে আপনাদের অনুযোগ।
এককথায়, আমাদের সম্বন্ধে আপনাদের অনুযোগ এই যে, আপনাদের মালিকানার উচ্ছেদ আমরা চাই। ঠিক তাইই, আমাদের সংকল্প ঠিক তা-ই।” …
‘‘সমাজের উৎপন্ন জিনিসে ভোগ-দখলের ক্ষমতা থেকে কমিউনিজম কাউকে বঞ্চিত করে না। এমন ভোগ-দখলের সাহায্যে অপরের শ্রম করায়ত্ত করার ক্ষমতা থেকেই শুধু কমিউনিজম তাকে বঞ্চিত করতে চায়।
আপত্তি উঠেছে যে, ব্যক্তিগত মালিকানার উচ্ছেদ হলে সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যাবে, সর্বব্যাপী আলস্য আমাদের অভিভূত করবে।
এই মত ঠিক হলে বহু পূর্বেই নিছক আলস্যের টানে বুর্জোয়া সমাজের রসাতলে যাওয়া উচিত ছিল, কারণ ও-সমাজে যারা খাটে তারা কিছু অর্জন করে না, আর যারা কিছু অর্জন করে তারা খাটে না। গোটা আপত্তিটাই অন্য ভাষায় এই পুনরুক্তির শামিল। যখন পুঁজি আর থাকবে না তখন মজুরি-শ্রমও আর থাকতে পারে না।”
কার্ল মার্কস-ফ্রেডরিক এঙ্গেলস, কমিউনিস্ট ইস্তেহার