বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ওয়াটার ক্যারিয়ার ও সুইপার কর্মীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সামগ্রিক কার্যনির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন৷ কোনও কোনও কর্মী কৈশোর বা যৌবনে কাজ শুরু করে আজীবন কাটিয়ে দেন এই পরিষেবায়৷ কিন্তু সরকার এই কর্মীদের দিকে ফিরেও তাকায় না৷ অফিসের বাবুদের একাংশ এঁদের দিয়ে ফাই–ফরমাশ খাটাতেও দ্বিধাবোধ করেন না৷ অপমান অনিশ্চয়তা বঞ্চনা ইত্যাদি নিয়েই এঁদের টিকে থাকা৷
সরকারি দপ্তরের সহায়ক এই কর্মীদের কেন সরকার স্বীকৃতি দেবে না? এই প্রশ্ন তুলে অনেক দিন ধরেই এঁদের নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি৷ আন্দোলনের প্রয়োজনে এই সংগঠনের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ‘সারা বাংলা ওয়াটার ক্যারিয়ার ও সুইপার কর্মচারী সমন্বয় সমিতি’৷ ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন জেলা থেকে ধর্মতলার সমাবেশে আসেন এই সমিতির প্রায় ১০০০ সদস্য৷ দিলীপ চক্রবর্তী ও প্রবীর দে সহ চার জনের প্রতিনিধি দল ভূমি সংস্কার দপ্তরের যুগ্ম–অধিকর্তাকে স্মারকলিপি দেন৷ অন্যান্য বিষয়ের সাথে তাঁরা দাবি করেন, সরকারি দপ্তরের ওয়াটার ক্যারিয়ার ও সুইপারদের সরকারি কর্মচারী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং ন্যূনতম দশ হাজার টাকা বেতন মাসের প্রথম সপ্তাহেই দিতে হবে৷ দাবির যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা স্বীকার করেন অধিকর্তাও৷ তিনি প্রতিনিধিদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চান উপরমহলে কথা বলার জন্য৷
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এআইইউটিইউসি’র রাজ্য সম্পাদক কমরেড দিলীপ ভট্টাচার্য৷ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংগ্রামী কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অবহেলা বঞ্চনার অবসান ঘটাতে আরও শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তুলুন৷ আমাদের সংগঠন আপনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়বে৷ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির অন্যতম সহসভাপতি মধুসূদন বেরা৷