এস ইউ সি আই (সি)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ৯ ফেব্রুয়ারি এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন,
মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট আদানি গোষ্ঠীর দুর্নীতি, প্রতারণা এবং সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টিকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। বিজেপির গত ৮ বছরের শাসনকালে আদানি গোষ্ঠীর উল্কাগতি উত্থান, যা তাকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তিতে পরিণত করেছিল, তার পিছনে কাজ করেছে সরকারের ঢালাও সুবিধা দেওয়া, প্রয়োজনে নীতি বদলে ফেলা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে ব্যবহার করা, যা দেশের ভিতরে এবং বাইরে আদানিদের নানা ধরনের ব্যবসাকে বাড়াতে সাহায্য করেছে। এই রিপোর্ট গত এক দশক জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আদানিদের মধ্যে লেনদেনের সম্পর্ককে প্রকাশ্যে এনেছে। রিপোর্ট এটাও প্রমাণ করেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন-পূর্ব স্লোগান ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ কতখানি অন্তঃসারশূন্য ছিল। বাস্তবে, বর্তমান সময়ে কোনও রাজনৈতিক দল, তা বিজেপি হোক বা কংগ্রেস কিংবা আঞ্চলিক বা সোসাল ডেমোক্রেটিক দলগুলি, যারাই বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থের সেবাদাস হিসাবে কাজ করবে তারা কেউই দুর্নীতির বাইরে থাকতে পারবে না এবং অসততা ও অনৈতিক কার্যকলাপ তাদের গ্রাস করবে যা শোষিত জনতার মুক্তিসংগ্রামে বাধা হিসাবে কাজ করবে।
আজ জনগণকে এই সত্যটা স্পষ্ট করে বুঝতে হবে যে একচেটিয়া পুঁজি এবং সরকারের দুষ্টচক্র ভারত সহ প্রতিটি সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী দেশের ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের বৈশিষ্ট্য হিসাবে দেখা দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে সোচ্চার হতে হবে।