ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায়, সভ্যতার সংকটময় সন্ধিক্ষণে যখন ক্ষমতার স্বার্থে বিজ্ঞানের অপব্যবহার ঘটেছে অবমাননা ঘটেছে, বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজ্ঞানীরা এগিয়ে এসেছেন, সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে তাঁরা সক্রিয় হয়েছেন। আজ গাজার বুকে যখন একইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, নাগরিকদের ওপর ভয়ঙ্কর পাশবিক আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে, হত্যালীলা চলছে, তখন আমরা নিছক দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। সম্প্রতি, ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির উদ্যোগে রাষ্ট্রসংঘের উদ্দেশে পাঠানো একটি খোলাচিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা।
৭ অক্টোবর থেকে পিচম এশিয়ার গাজায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদতপুষ্ট ইজরায়েলের আক্রমণে চলছে ভয়াবহ ধ্বংসলীলা। প্রতিদিন বোমার আঘাতে নিহত হচ্ছেন শিশু-নারী-বৃদ্ধ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ। নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে হাসপাতালগুলিতেও। শুধুমাত্র ৭ থেকে ২৬ অক্টোবর-এর মধ্যে ইজরায়েলি বিমান হানায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৫০০ মানুষ, যার ৬০ শতাংশ মহিলা এবং শিশু। কার্যত বন্দি, অসহায় একটি জনগোষ্ঠীর ওপর এই সংগঠিত হত্যালীলার প্রতিবাদে এগিয়ে এসেছেন গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানকর্মীরা। এই বিপর্যয় রোধে রাষ্ট্রসংঘের দৃঢ় হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁরা দাবি করেছেন–অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে, যুদ্ধবিধবস্ত ভূখণ্ডে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীর অবাধ, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও আহতদের চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে হবে এবং দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য উপযুক্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষাবিদ সহ ১১০০ জনেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন এই চিঠিতে।