আসাম চুক্তির ৬ নং ধারা কার্যকরী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে, এসইউসিআই (সি) আসাম রাজ্য কমিটি মনে করে, এর দ্বারা আসামের ভৌগোলিক অখণ্ডতা মারাত্মক বিপদাপন্ন হবে৷ কমিটির অধ্যক্ষের বিচার বিবেচনার জন্য এসইউসিআই (সি) আসাম রাজ্য কমিটি ১৬ জানুয়ারি আসাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে এক স্মারকপত্রে চার দফা সমাধান সূত্র কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে৷
স্মারকপত্রে ১৯৮০ সালের ১ মার্চ তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সর্বদলীয় সভায় এসইউসিআই (সি)–র পক্ষ থেকে তুলে ধরা চার দফা সমাধান সূত্রের উল্লেখ করে কমরেড চন্দ্রলেখা দাস বলেছেন, সীমান্ত পার হয়ে লক্ষ লক্ষ বিদেশির অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং ঘটছে, এই ধারণা সঠিক নয় বলে জেনেও আমরা বলেছিলাম, জনগণের উদ্বেগ নিরসন করার জন্য সীমান্ত এমনভাবে সিল করে দেওয়া হোক যাতে অনুপ্রবেশের কোনও ফাঁক না থাকে৷ দ্বিতীয়ত, রাজ্যের জনবিন্যাসের পরিবর্তনের সাথে কোনও ধরনের সম্পর্ক না রেখে এবং ছোট–বড় সংখ্যালঘুদের নিজ নিজ মাতৃভাষা চর্চার ক্ষেত্রে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার অক্ষুন্ন রেখে, রাজ্য ভাষা হিসাবে অসমিয়া ভাষার বর্তমান মর্যাদা স্থায়ী এবং অপরিবর্তনীয় করার জন্য পার্লামেন্টের বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ বা আইন প্রণয়ন করা হোক৷ তৃতীয়ত আসামের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত শিল্পোন্নয়নের উদ্দেশ্যে সুনির্দ্দিষ্ট কার্যসূচির একটা প্যাকেজ প্রোগ্রাম ঘোষণা করা এবং চতুর্থত, ১৯৭১ সালকে বিদেশি চিহ্ণিতকরণের ভিত্তি বছর হিসাবে গ্রহণ করা হোক৷
এস ইউ সি আই (সি) মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতি–ধর্ম–ভাষা–বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনগণের সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলা খুবই জরুরি৷ কারণ বিভাজনবাদ কোনও অবস্থাতে আসামের বিন্দুমাত্র স্বার্থ পূরণ করবে না৷ আসামের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা করতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও বৈদ্যুতিকীকরণ, রাস্তা–ঘাট নির্মাণ, কৃষির আধুনিকীকরণ ও বৈজ্ঞানিকীকরণ এবং বেকার সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ অতি সত্ত্বর গ্রহণ করতে হবে৷