ভোটের প্রচার চলছে ঝাড়গ্রামে। অন্যান্য দলগুলির প্রার্থীদের যখন জাঁকজমকের শেষ নেই। এস ইউ সি আই (সি) প্রার্থী অর্চনা সাঁই সহ দলের কর্মীরা জোর দিয়েছেন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিশেষত গরিব, খেটেখাওয়া মানুষের কাছে পৌঁছানোর উপর। মানুষও সমর্থন দিচ্ছেন অন্তর থেকে। এমনই এক প্রচারের দিন, দলের কর্মীরা পেলেন এক অপূর্ব স্নেহের পরশ। ঝাড়গ্রাম শহরের গরিব পরিবারের এক মহিলা দলের কর্মীদের রাস্তা থেকে ডেকে এনে বললেন বাবা তোমরা রৌদ্রে ঘুরছো। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করো, দেখি, আজ আমার বাড়ির পাস দিয়ে যাচ্ছ। একটু শরবত খেয়ে যাও। তাঁর ছেলে দর্জির কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালায়। কিন্তু অতি কষ্টের সংসারের খরচ থেকেও বাঁচিয়ে ৫০ টাকা দিলেন চাঁদা হিসাবে। বললেন, ‘মদ বিরোধী আন্দোলনে আমাকে ডেকো যত দূর যেতে হয় আমি যাবো’।
শহরের এক মধ্যবিত্ত বাড়িতে হল একটু অন্য অভিজ্ঞতা। তিনি চান বিদ্যাসাগরের চর্চা হোক। বললেন, বিদ্যাসাগরকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তোমরাই করছো। আমিও বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর আদর্শে আমি চাই দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ফোন নাম্বার দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন সময় পেলেই যেতে।
শহরেরই একটি বস্তি এলাকায় ছেলেকে নিয়ে থাকেন এক মা। হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে আয়ার কাজ করে সংসার চালান। চান ক্লাস ইলেভেনে পড়া একমাত্র সন্তানটিকে মানুষ করে তুলতে। দলের কর্মীদের দেখে গভীর আবেগ তাঁর। জানতে চান, ‘তোমাদের দলের ছেলেমেয়েরা এত সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে কী ভাবে’? খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে শুনেছেন, কীভাবে আন্দোলনের পাশাপাশি দলের কর্মীরা পাড়ায় স্টাডি সার্কেল পরিচালনা করেন, কী ভাবে বড় মানুষদের জীবনী দেশ-বিদেশের সাহিত্য পাঠ ও তা অনুশীলনে ছাত্র-যুবকদের অনুপ্রাণিত করে দল।
অনুরোধ করেছেন ওই পাড়ায় গিয়ে তাঁর ছেলের বন্ধুদের নিয়েও এমন কর্মসূচি নেওয়ার। চাইছেন সন্তানের হাতটা ধরা থাক সঠিক হাতে। বোঝা যায় ভোটবাজ দলগুলো জিতবে ২ মে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনে। কিন্তু এস ইউ সি আই (সি) দল মানুষের মনে জিতে গেছে ভোটের বহু আগেই।