আসামের নলবাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের নাম করে ২৩৫ বেডের নলবাড়ি সিভিল হাসপাতাল তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করে আসাম সরকার। জনগণ এই ষড়যন্ত্র ধরে ফেলে। এস ইউ সি আই (সি)-র উদ্যোগে ‘শহিদ মুকুন্দ কাকতি অসামরিক চিকিৎসালয় সুরক্ষা সমিতি’ গড়ে তোলেন এলাকার জনগণ এবং আন্দোলন শুরু হয়। এর চাপে ১৬ নভেম্বর আসাম সরকার একদিনের নোটিসে একটি ৫০ বেডের হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। স্বভাবতই সুরক্ষা সমিতি এর প্রতিবাদ জানায়। তাতে বিজেপি সরকার ক্ষিপ্ত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ক্যাবিনেট মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ূয়়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র কুমার জৈন ও অন্যান্যদের ‘বহিরাগত’, ‘উগ্রপন্থী’ ইত্যাদি বলে অশ্লীল গালিগালাজ করেন ও একদিনের মধ্যে নলবাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দেন। তার তিন ঘন্টার মধ্যে দলের নলবাড়ি জেলা কার্যালয়ে বিজেপির গুণ্ডাবাহিনী ব্যাপক হামলা চালায় এবং কাগজপত্র নষ্ট করে, জিনিসপত্র লুঠ করে। ভগৎ সিং, কনকলতা বড়ূয়ার মতো স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহিদদের ছবি টেনে-হিঁচড়ে বাইরে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যে সাংবাদিকরা ক্যামেরা সহ এসে পড়ায় গুন্ডাবাহিনী আশপাশে সরে যায়। এরপরই পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নাম করে হাজির হয় এবং বয়ান রেকর্ড করার নাম করে এস ইউ সি আই (সি) কর্মীদের ধরে নিয়ে যায়।
পরের দিন জিতেন্দ্র কুমার জৈনকে পুলিশ আটক করলেও জনমতের চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ১৮ নভেম্বর দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মী মুনিন্দ্র দলে এবং কুশল পেগুকে সারা দিন পুলিশ আটকে রাখে। শেষে জনমতের চাপে সন্ধ্যায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পরদিন আবার পুলিশ তাঁদের থানায় হাজির হতে বলে। সংবাদমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
রাজ্য সম্পাদক কমরেড চন্দ্রলেখা দাস ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং ঘোষণা করেন দাবি না মেটা পর্যন্ত জনস্বার্থে এই আন্দোলন চলবে।