পুঁজির ইতিহাস যে চুরি আর প্রতারণার ইতিহাস তা আবার প্রমাণ করলেন ভারতীয় শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি। তেমনই জাতীয় বা আঞ্চলিক দলগুলি সবই যে পুঁজির দাস তা-ও এই ঘটনা আবার প্রমাণ করে দিল।
সম্প্রতি আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)-এর পক্ষ থেকে গৌতম আদানি, তাঁর ভাইপো এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২২০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে অনেক বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বেচার বরাত আদায়ের অভিযোগ করা হলে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এক মার্কিন আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদানি গ্রিন সংস্থা কেন্দ্রের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সোলার এনার্জি কর্পোরেশনের সঙ্গে ১২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তি করেছিল। কিন্তু আদানিদের বিদ্যুতের দাম বাজারের থেকে বেশি হওয়ায় কর্পোরেশন রাজ্যে রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির মধ্যে এর ক্রেতা পাচ্ছিল না। এই অবস্থায় আদানি নিজেই মাঠে নামেন। আদানি ও তাঁর সংস্থার কর্তারা ব্যক্তিগত ভাবে রাজ্য সরকারের পদাধিকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করান। এর জন্য তাঁদের প্রায় ২২০০ কোটি টাকার ঘুষ দেন বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে। এই চুক্তি থেকে আদানিরা আগামী ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার মুনাফা করার পরিকল্পনা করেছিল। জম্মু-কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ূতে বেশি দামে বিদ্যুৎ বেচার এই বরাত আদায় করেছে আদানি গোষ্ঠী। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার আদানিদের সঙ্গে একই চুক্তি করেছে।
কিন্তু মার্কিন আদালতের এই পদক্ষেপ কেন? কারণ, আদানিরা এই প্রকল্পের জন্য মার্কিন একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে আমেরিকার ব্যাঙ্ক ও লগ্নিকারীদের থেকে ৩০০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাঁরা সেখানে এই ঘুষের কথা গোপন করেন, যা মার্কিন আইনে প্রতারণা। মার্কিন আইন অনুসারে বিদেশি দুর্নীতির সঙ্গে আমেরিকার বাজার, লগ্নিকারীদের নির্দিষ্ট সংযোগ থাকলে, তারা তদন্ত করে শাস্তি দিতে পারে। তাই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা।
আদানিদের বিরুদ্ধে এত বড় একটি অভিযোগের পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুপ করে রয়েছেন কেন? কেন তিনি এর প্রতিবাদ করছেন না বা কোনও রকম তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না? তাঁর ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ প্রতিশ্রুতি কি তা হলে শুধুই লোক ঠকানোর জন্য? বিজেপির কোনও কোনও মন্ত্রী তো একে ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করার জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে সাফাই গেয়েছেন। এই অভিযোগের পিছনে সত্যিই যদি ভারত-বিরোধী কোনও ষড়যন্ত্র থাকে তা হলেও তো তা দেশের মানুষের সামনে আনা জরুরি। তদন্ত চালিয়ে তাঁরা সেই ষড়যন্ত্রকেই বা ফাঁস করে দিচ্ছেন না কেন? তাঁরা সাফাই গাইছেন যে, ২০২০-২২ সাল নাগাদ যে সময়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আদানিদের সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি হয়েছিল তখন ছত্তীসগঢ়ে ছিল কংগ্রেস সরকার, তামিলনাড়ূতে কংগ্রেসের শরিক ডিএমকে, অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর এবং ওড়িশায় বিজেডি। বিজেপি নেতারা এ কথা প্রকাশ করেননি যে ওয়াইএসআর এবং বিজেডি তখন তাঁদের বন্ধু সরকার হিসাবেই কাজ করছিল। জম্মু-কাশ্মীরেও বকলমে বিজেপিরই সরকার ছিল। তা ছাড়া সে রাজ্যগুলি বিরোধী শাসিত হওয়া সত্ত্বেও সিবিআই, ইডি, সেবি প্রভৃতি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি, যারা এখন প্রায় তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে, এতবড় একটি দুর্নীতির ঘটনায় তাঁরাই বা চুপ করে থাকল কেন? কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই দুর্নীতির ভয়ঙ্কর প্রতিবাদী সেজে মিডিয়া কাঁপাচ্ছেন। কিন্তু তিনিও বলতে পারেননি যে তাঁদের শাসিত রাজ্যগুলিতে এই দুর্নীতি ঘটতে পারল কী করে। ডিএমকে, ওয়াইএসআর, বিজেডি নেতারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও এই দুর্নীতি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তিনি নাকি অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। অর্থাৎ ধনকুবেরদের সঙ্গে দোস্তির প্রশ্নে এদের কারও কোনও পার্থক্য নেই।
আদানিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম নয়। গত বছরই মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে অভিযোগ করেছিল, কারচুপি করে নিজেদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারদর বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ২০২২-এ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় প্রবল গণবিক্ষোভের সময় এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যে, আদানিদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য একটি শক্তি প্রকল্পের চুক্তি পাশ করানোর জন্য শ্রীলঙ্কা সরকারের উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং চাপ দিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ হাইকোর্ট আদানিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির শর্ত, দাম প্রভৃতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কেনিয়া সরকার জানিয়েছে তারা আদানিদের সঙ্গে দুটি বড় চুক্তি– জোমো কেনিয়াট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ চুক্তি ও বিদ্যুৎ পরিহণ লাইন তৈরি চুক্তি বাতিল করছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে নিম্নমানের কয়লা এনে দেশে তা উচ্চমানের কয়লার দামে বিক্রির অভিযোগে দেশে প্রবল প্রতিবাদ হলেও মোদি সরকার চোখ-কান বন্ধ করে থেকেছে।
অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বে ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান মুখ হিসাবে যে গৌতম আদানিকে বেছে নিয়েছেন সেই আদানিদের সম্পর্কে দেশে তো বটেই, বিশ্বজুড়েই চুরি এবং দুর্নীতির অজস্র অভিযোগ উঠেছে। অন্য কোনও দেশের আদালত এই প্রথম কোনও ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল। পুঁজিবাদী অর্থনীতির স্বার্থের বিচারেও আদানির দুর্নীতি ভারতীয় ভাবমূর্তিতে বিশ্বজুড়ে কালি মাখিয়ে দিল। বাস্তবে এই হল নরেন্দ্র মোদির ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’র স্বরূপ, যা এতদিন নানা ভাবে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। সরকারি তথা রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে যে দুর্নীতি দেশের অভ্যন্তরে চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছিল, আমেরিকায় একই খেলা খেলতে গিয়ে এখন তা ধরা পড়ে গেল।
আদানিদের এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় হিন্ডেনবার্গের আনা শেয়ার দুর্নীতির অভিযোগের সময়ে আদানিদের শেয়ারে যে বিরাট পতন হয়েছিল এ বার তার দ্বিগুণ পরিমাণ পতন হয়েছে। এর ফলে আদানিদের শেয়ারে লগ্নি করেছিলেন যে সব সাধারণ মানুষ তাঁরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হলেন। শুধু তাই নয়, বাজারের থেকে অনেক চড়া দামের আদানিদের সৌর বিদ্যুৎ ঘুষ দিয়ে চালু করায় সাধারণ মানুষকে তা বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। তাতে আদানিদের মুনাফা বিপুল পরিমাণে বাড়লেও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
অনেকেই জানেন, গুজরাটের একজন সাধারণ ব্যবসায়ী হিসাবে জীবন শুরু করলেও গৌতম আদানির উত্থান শুরু হয় নরেন্দ্র মোদি সেখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তা উল্কার গতি পায়। এখন গৌতম আদানি ভারতের সর্ববৃহৎ পুঁজির মালিক। তাঁর এই অবিশ্বাস্য উত্থানের পিছনে শুরু থেকেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির সহায়ক ভূমিকা অর্থাৎ রাজনৈতিক-প্রশাসনিক তথা রাষ্ট্রীয় মদত আদানিদের বিশ্বের প্রথম ২০ জন ধনকুবেরের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি আদানিদের দেদার ঋণ দিয়েছে এবং সরকার তার বৃহৎ অংশ মকুব করে দিয়েছে। ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠনের একটি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আদানিদের ১০টি সংস্থার নেওয়া ৬২ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ ১৬ হাজার কোটি টাকায় ফয়সালা করে নেয় ব্যাঙ্কগুলি। এ ছাড়া মোদি শাসনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি পাইকারি হারে আদানিদের দখলে চলে গিয়েছে। বিদ্যুৎ, বন্দর, খনি, বনভূমি, শক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলিতে বিজেপি সরকারের মদতে আদানিরা একচেটিয়া দখল নিতে থাকে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারি নিয়ম, আইন প্রভৃতিকে বেপরোয়া ভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ক্ষমতাসীন মোদি সরকার কোনও অভিযোগকেই গুরুত্ব দেয়নি। সর্বশেষ ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ে পরিবেশ আইনকে দু’পায়ে মাড়িয়ে লক্ষ লক্ষ গাছ কেটে খনির দখল নিয়েছে আদানিরা।
ভারতে রাজনৈতিক দুর্নীতি এবং রাজনীতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগসাজশ নতুন নয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে ঘনশ্যামদাস বিড়লার সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতা এবং কংগ্রেসের জন্য তাঁর আর্থিক মদত লালা লাজপৎ রাই সহ অনেকে মেনে নিতে পারেননি। স্বাধীন ভারতেও সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে। টাটা-বিড়লার মতো বৃহৎ পুঁজিপতিদের স্বার্থ দেখা কংগ্রেস শাসনের অগ্রাধিকারের মধ্যে ছিল। পরবর্তী সময়ে আম্বানিদের উত্থানের পিছনে এই সম্পর্ক নগ্ন রূপ নেয়। এক সময়ে মুকেশ আম্বানি কংগ্রেসকে তার অনেক দোকানের একটি বলে প্রকাশ্যে উল্লেখ করেছিলেন। বিজেপি শাসনে অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষস্থানটা আদানিরা দখল করেছে। দেশে-বিদেশে আদানিদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় নরেন্দ্র মোদি সরকার যে নগ্ন ভূমিকা পালন করে চলেছে তা নজিরবিহীন।
একচেটিয়া পুঁজিপতিদের সঙ্গে শাসক দলের এই অনৈতিক এবং বেআইনি লেনদেনের সম্পর্ককে পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদরাই ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বা স্যাঙাৎতন্ত্র নাম দিয়েছে। অর্থাৎ শাসক পার্টি দেখবে একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থ, বিনিময়ে সেই পুঁজিপতিরা দল চালানোর খরচ, নির্বাচনী খরচ এবং নেতাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার খরচ জোগানোর জন্য শাসক দলের ভাণ্ডার ভরিয়ে তুলবে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার গ্যারান্টি জোগাবে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে এই লেনদেনের সম্পর্কটিকে আইনি তথা বৈধ রূপ দিতে ইলেকটোরাল বন্ড নাম দেয়। এই বন্ডে কারা কত টাকা পেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তা প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে দেখা যায়, শাসক দল হিসাবে বিজেপি পেয়েছে সিংহভাগ টাকা, তারপরেই কংগ্রেস। আঞ্চলিক বুর্জোয়া দলগুলিও পুঁজিপতিদের দাক্ষিণ্য থেকে বঞ্চিত হয়নি। বিনিময়ে এই সব পুঁজিপতিরা সরকারি নেতা-মন্ত্রী-কর্তাব্যক্তিদের থেকে মোটা অঙ্কের বরাত এবং অন্যান্য নানা সুবিধা আদায় করেছে– বহু ক্ষেত্রেই ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা সত্তে্বও। অর্থাৎ জনস্বার্থকে পুঁজিপতিদের পায়ে বলি দিয়ে এই সব দলগুলি এবং তার নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের আখের গুছিয়েছে।
আদানিদের দুর্নীতির সঙ্গে দেশের সাধারণ জনগণের স্বার্থের বিষয়টি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকায় আদানিকে গ্রেফতার করে তদন্তের যে দাবি সমাজের সমস্ত স্তর থেকে উঠেছে, তাকে কোনও অজুহাতেই এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা জাতীয় স্বার্থের কথা বলে যারা এই দুর্নীতিকে সমর্থন করছে, কিংবা যারা এই দুর্নীতি দেখেও না দেখার ভান করছে, তাদের সকলকে চিহ্নিত করে জনসমক্ষে তাদের আসল চরিত্রকে উন্মোচিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করতে সরকার এবং সরকারি তদন্ত এজেন্সিগুলিকে বাধ্য করতে হবে।
দেশের জনগণকেও আজ এ কথা বুঝতে হবে যে, তাদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি বিজেপি কংগ্রেস তৃণমূল বা অন্য কোনও আঞ্চলিক দলের কার্যক্রমের মধ্যে নেই। বরং এই সব দলগুলির শাসন যত দিন চলবে তত দিন এই ভাবেই জনস্বার্থকে একচেটিয়া পুঁজিপতি শ্রেণির পায়ে বির্সজন দেবে এই দলগুলি। তাতে জনগণের জীবনের দুদর্শা আরও বাড়বে। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, ছাঁটাই, শিক্ষা-চিকিৎসার খরচবৃদ্ধি ঘটতেই থাকবে। অন্য দিকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং শাসক নেতারা জনগণেরউপর শোষণ-লুণ্ঠন চালিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়বে। তাই আজ জরুরি হল, জনগণকে তাদের স্বার্থরক্ষাকারী দলকে চিনতে হবে এবং তাকে শক্তিশালী করতে হবে। এবং সেই শক্তি নিয়ে সমস্ত রকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।