বিশিষ্ট আইনজীবী লিগাল সার্ভিস সেন্টারের সহসভাপতি রাইমোহন সিনহা (ঝন্টুদা) ৩ নভেম্বর দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার শিশুমঙ্গল হাসপাতালে প্রয়াত হন। লিগাল সার্ভিস সেন্টারের উদ্যোগে তাঁর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় ২৪ নভেম্বর কলকাতার সুজাতা সদনে। শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্মৃতিচারণা করেন সংগঠনের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভবেশ গাঙ্গুলী, সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও সংগঠনের সভাপতি মলয় সেনগুপ্ত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকদার, মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষে ডাঃ কিষান প্রধান, রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার, বিশিষ্ট আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও বিশিষ্ট আইনজীবী শিবপ্রসাদ মুখার্জী।
সিপিডিআরএস-এর সহসম্পাদক রাজকুমার বসাক, লিগাল সার্ভিস সেন্টারের সংগঠক রূপম চৌধুরী সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবী, আইনের ছাত্র, ল ক্লার্ক ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান। প্রয়াত আইনজীবীর স্ত্রী, পুত্র ও অন্যান্য পরিজন মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন উদ্যোক্তা সংগঠনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী প্রীতম পণ্ডা। কলকাতা ও বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায় ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পূর্বতন চেয়ারম্যান শ্যামল সেনের পাঠানো শোকবার্তা দুটি পাঠ করে শোনান সংগঠনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাইকোর্টের আইনজীবী সেখ জায়েদ হোসেন।
বক্তারা প্রয়াত রাইমোহন সিনহার অনাড়ম্বর জীবন, মেধা, সদা হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহার, উদারতা ও গরিব মানুষের প্রতি দরদবোধের কথা তুলে ধরেন। তিনি যৌবনে যে মার্ক্সবাদী চিন্তানায়ক শিবদাস ঘোষের চিন্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দলে যুক্ত হন, সে কথা উল্লেখ করেন। দলের পক্ষে তিনি পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। দরদি সমাজসেবী হিসাবে দলমত নির্বিশেষে মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন তিনি। তরুণ আইনজীবীদের প্রয়াত রাইমোহন সিনহার জীবনের এই গুণাবলি অর্জন করার আহ্বান জানান তাঁরা। সভার সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা ছায়া মুখার্জীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি হয়। সভা সঞ্চালনা করেন লিগাল সার্ভিস সেন্টারের কোষাধ্যক্ষ এবং হাইকোর্টের আইনজীবী কার্তিক কুমার রায়। প্রায় দুই শতাধিক আইনজীবী, আইনের ছাত্র, ল ক্লার্ক ও অন্যান্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।